উইনার মার্কেটিং এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড!
সুস্থ থাকার উত্তম উপায় :
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর চা পান করুন সকল রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।
বাংলাদেশ সাইন্স ল্যাবরেটরি () কতৃক উদ্ভাবিত এবং অনুমোদিত।
স্লিমিং চা: বর্তমান বিশ্বে ওজন হ্রাস এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল চা, দিনে দিনে বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাছে। কাঁচা পাতার স্বাদের সম্পূর্ন হারবাল চা বাজারজাত করছি যার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই, দৈনদিন খাদ্য তালিকা পর্রিবর্তন না করে এবং কোন প্রকার ব্যায়ম বা পরিশ্রম না করে শুধুমাত্র সপ্তাহে এক কাপ স্লিমিং চা পানে আপনার শরিরের অবানচিত মেদ কমান কার্যকর ভাবে। (সপ্তাহে একাধিক বার চা পানে কোন ক্ষতি নাই )
স্লিমিং চা যেভাবে কাজ করে: শরিরের মেটাবলিজম কে বৃদ্ধি করে, এতে খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান শরীর গ্রহন করে এবং অপ্রয়োজনীয় মেদ জমা হতে বাধা দেয়।
গ্রীন চা:
১. গ্রীন টির সবথেকে বড় গুণ হল এটি যেকোনো ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২. বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা গেছে যে যাঁরা প্রতিদিন ১ কাপ গ্রীন টি খান তদের তুলনায় যাঁরা প্রতিদিন ৫ কাপ গ্রীন টি খান তদের হার্ট অনেক বেশি ফিট।তদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হবার সুজোগ খুবই কম।এছাড়াও শরীর থেকে খারাপ কোলেসটরেল কমিয়ে আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে ও হার্টকে স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচাতে ভীষণভাবে সাহয্য করে।
৩. যদি গ্রীন টি রোজ পান করা যায় তাহলে ডায়াবেটিসের মত রোগকে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
৪. বর্তমান বিভিন্ন স্টাডি থেকে জানা যাচ্ছে যে গ্রীন টি ত্বক ও চুল কে সুন্দর রাখতেও ভীষণ ভাবে উপকারী
৫. আমরা সবাই মোটামুটি জানি যে অতিরিক্ত ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলাভার।শরীরের বিভিন্ন অংশের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দেয় এই গ্রীন টি।যেটা নিয়ে আমরা প্রায় সবাই কখনো না কখনো সমস্যায় ভুগেছি। শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে এটি প্রমাণিত সমাধান।
৬. গ্রীন টির আরেকটি অসাধারণ গুণ হল এটি আমদের ব্রেন কে সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে ।
৭. রোজ যদি গ্রীন টি পান করা যায় তাহলে দাঁত ও সুন্দর থাকে। বিভিন্ন স্টাডি থেকে জানা যাচ্ছে যে মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়াক,ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রীন টি যার দ্বারা আমাদের দাঁত ভালো থাকে এবং মুখের দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
নিজেকে যদি সুন্দর আর ফিট রাখতে চান তাহলে রোজ গ্রীন টি খেতেই হবে।
আমলকি চা:
সর্বাধিক ভিটামিন সি থাকায় নিয়মিত আমলকি চা পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও খাবারের রুচি বাড়ে।
১. গ্যাস্টিক ও গ্যাসের/গ্যাসট্রাইটিস রোগীদের জন্য মহা ঔষধ।
২. কোষ্ঠকাঠিণ্য ও পাইলস রোগীদের জন্য খুবই ফলদায়ক।
৩. চুল পড়া ও অকালে চুল পাকা রোধ করে।
৪. সর্বোপরি চোখের জ্যোতি বাড়ায় ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
তুলসী চা:
১. শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে
সর্দি, কফের সমস্যা এবং সাইনোসাইটিসের সমস্যায় যারা রয়েছেন তারা নিয়মিত তুলসি চা পান করলে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত।
২. জ্বর কমায়
তুলসি চা জ্বরের ঔষধ হিসেবে পান করলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যদি চায়ে যোগ করা হয় দারুচিনি তাহলে দ্রুত ফল পাওয়া সম্ভব।
৩. পেটের গণ্ডগোল দূর করে
হজমে সমস্যার কারণে অনেকে প্রায়ই পেটে গণ্ডগোলে ভুগে থাকেন। নিয়মিত তুলসি চা পানের অভ্যাস করুন সমস্যার সমাধান হবে।
৪. খারাপ কলেস্টোরল কমায়
প্রতিদিন ১ কাপ তুলসি চা পানের অভ্যাস দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমিয়ে দেয়। তুলসির ফাইটোকেমিক্যালস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অর্গানিক কম্পাউন্ড দেহের খারাপ কলেস্টোরলের মাত্রা কমায়।
৫. দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করে
তুলসির বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ চোখের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি রাতকানা রোগ সহ নানা চোখের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৬. দাঁত ও মুখের সমস্যা দূর করে
তুলসি পাতার ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির নান সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও তুলসি পাতার গুঁড়ো পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্টের মতো দাঁত ব্রাশের কাজে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৭. মানসিক চাপ দূর করে
খুব বেশি মানসিক চাপের মধ্যে সময় কাটালে প্রতিদিন তুলসি চা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। কারণ তুলসি চায়ের মতো অ্যারোমেটিক বেভারেজ মানসিক চাপ দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক।
৮. অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে
তুলসি পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোকেমিক্যালস ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়াও এর ভিটামিন এবং মিনারেলস দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
অর্জুন চা:
১. অর্জুন চা হৃদরোগীদের জন্য মহা ঔষধ।
২. রক্তনালীতে জমে থাকা চর্বি বা ব্লাড লিপিড অপসারনে অত্যন্ত কার্যকর।
৩. নিয়মিত অর্জুন চা উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
৪. কোলষ্টেরল কমায় এবং রক্ত বিশুদ্ধ রাখে।
৫. স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ত্রিফলা চা:
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত কার্যকর।
২. অবসন্নতা ও ক্লান্তি দূর করে শরীরকে সবসময় চাঙ্গা রাখে।
৩. যৌবনকে অটুট রাখে ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক।
৪. চুল কালো ও মজবুত করে এবং কণ্ঠকে সুমিষ্ট করে।
৫. সর্বরোগে উপকারি ত্রিফলা।
স্টাফ রিপোর্ট : সাব্বির হোসেন (খুলনা টিভি )