কাশি হলে নিরাময়ে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন!
কাশির সিরাপ খাচ্ছেন বা চিকিৎসক দেখিয়ে অ্যান্টিহিস্টাসিন, ব্রঙ্কোডায়ালেটর খাচ্ছেন, তবু কাশি কমছে না। রাত-বিরেতে শুকনো কাশির দমকে ঘুমের একদম দফারফা। কাশির কারণ যদি ঠাণ্ডা লাগা বা দূষণ হয়, তা হলে শুধু সিরাপে কাজ হবে না, এ কথা প্রথমেই মনে রাখতে হবে।
কাশি হলে কিছু খাবারেও লাগাম টেনে ধরতে হবে। শুধু মধু, আদা খেলেই কাশির দমক আর থাকবে না। তবে যেসব খাবার খেয়ে বা পান করে কাশির দমক কমবে না মোটেও তা হলো:
দুধ : কাশি হলে অনেকেই বলে থাকেন গরম দুধ পান করতে। এতে গলার আরাম হয় ঠিকই, একই সঙ্গে দুধ ফুসফুস ও গলায় কিউকাস উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। কাশি হলে তাই দুধ এড়িয়ে চলাই ভালো।
পানিস্বল্পতা বা ডিহাইড্রেশন : কাশি হলে গলা শুকনো রাখা একেবারেই ঠিক নয়। তরল খাবার, যেমন-এ ক্ষেত্রে স্যুপ হতে পারে উত্তম খাবার।
প্রক্রিয়াজাত খাবার : ব্রেড, পাস্তা, বেকড খাবার চিপস বা সুগারি ডেসার্ট খেলে কাশি বাড়ে। এর বদলে শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবারের দিকে মন দিন। ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার এ সময় বেশি বেশি খেতে হবে।
ভাজা জাতীয় খাবার : কাশি হলে অনেক সময় মুখে রুচি একদম থাকে না। ভাজা খাবার খেয়ে অনেকেই রুচি ফেরানোর চেষ্টা করে থাকেন। এতে কাশি আরও বাড়ে। ফাস্টফুড, জাঙ্ক ফুডও খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। তাতে কাশি কমার বদলে আরও বাড়বে।
টক জাতীয় ফল : এতে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে। ফলে কাশি হলে না খাওয়াই ভালো। কারণ সাইট্রিক অ্যাসিড গলায় সংক্রমণ ঘটায় ও কফ বাড়িয়ে দেয়।