খুলনা টিভির পক্ষ থেকে বাংলা নতুন বছর ১৪২৫ শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা
শুভ নববর্ষ ১৪২৫! সকলকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ১৪২৪ -কে বিদায় জানিয়ে আবারো বাঙালিকে উৎসবে মাতাতে চলে এলো আরও একটি নতুন বছর। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…।’ – এভাবেই বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পহেলা বৈশাখকে স্বাগতম জানিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
পুরাতন বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্নার হিসাব চুকিয়ে বাংলা নতুন বছরকে আপন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে বরণ করে নিব আমরা বাঙালিরা। এই উৎসবের রঙ মাখতে ভুলে না অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়াগুলোও। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগের ডিজিটাল মাধ্যমগুলোতেও আমরা মেতে উঠি আনন্দ-উল্লাসে। প্রিয়জনকে পাঠাই বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা এমনি করে খুলনা টিভির পক্ষ থেকে খুলনা টিভির পাঠক পাঠিকা সহ খুলনা নগরী , খুলনা বিভাগ এবং সারা বাংলাদেশের মানুষকে প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা ও অভিননন্দন।
শুভ নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে খুলনা নগরীর বৃহৎ মেলা অনুষ্ঠিত হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। এখানে হাজার হাজার মানুষের সমারোহে মুখুড়িত হয় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের পুরোটা অঙ্গন জুড়ে। নানান রঙে ঢঙে সাজে প্রতিটা স্টল , মানুষের মধ্যে থাকে টান টান উত্তেজনা নানান রঙের পোশাক পরিচ্ছেদে সজ্জিত হয়ে বরণ করে শুভ নববর্ষের এই দিন টাকে। এছাড়া খুলনার শহীদ হাদিস পার্ক , জাতিসঙ্গ শিশু পার্ক ও বড় ম্যাথ প্রাঙ্গনে শুভ নববর্ষের এই দিন টাকে ঘিরে থাকে বিশাল উৎসব ইমেজ। পুরো খুলনা নগরী থাকে রঙে ঢঙে সজ্জিত এক বর্ণিল মাইয়াবি শহর ।
পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। এছাড়াও দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা দিনটি নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়।
এই উত্সব শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ“। নববর্ষের সময় বাংলাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সালে, ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই উৎসবকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষণা করে..।
খুবই ভালো কাটুক বাংলা নতুন বছর, মুছে যাক সমস্ত গ্লানি, ঘুচে যাক যতসব বেদনা , আনন্দ উল্লাসে কাটুক প্রতিটা দিন এই কামনা খুলনা টিভির দর্শক শ্রোতা, সহ সারা বাংলার মানুষের জন্য।
প্রতিবেদন: সাব্বির হোসেন