কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম: গত দুই দিন ধরে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন যায়গায় মৃত্যু হয়েছে মোট, ১৪, জন মানুষের। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রায়, ১৪,লক্ষের, বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করা মোট, ৫৭৭, টি ত্রাণ শিবিরে। সারা পশ্চিম বাংলার মোট, ৪৭,টি, ব্লকের বিভিন্ন যায়গায় জলের তলায় রয়েছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি।
প্রবলভাবে বইছে ঝড়ের বেগ ও সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত। পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম, ১০৭০২২১৪৩৫২৬,টোল, ফ্রি টেলিফোন নাম্বার। পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন যায়গায় রিলিফ দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি জল ও শুকনো খাবার ও খিচুড়ি ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বহু ব্লকের সরকারি ইস্কুল ও কলেজ কে ত্রাণ শিবিরে করা হয়েছে। বন্যা পিড়িত মানুষের উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে পশ্চিম বাংলা সরকারের প্রকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলা বাহিনীর সদস্যদের। সেই ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কে উদ্ধার কাজে সাহায্য করছে।
পশ্চিম বাংলার বঙ্গোপসাগর এলাকার মানুষের জন্য এক নাম্বার সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে ধীবরদের মাছ ধরতে যেতে মানা করা হয়েছে। দীঘা বকখালি ও নামখানা ডায়মন্ডহারবারের গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত মানুষ জন কে এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে নিরাপদ স্থানে।
গভীর সুন্দর বন এলাকায় নদী ও নালা তে মাছ ধরতে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন যায়গায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
বহু জেলার বিভিন্ন যায়গায় বন্যার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বহু নদীর বাধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত করে দিয়েছে। কলকাতা ও কলকাতার আশে পাশে অবস্থিত বারুইপুর এবং সোনাপুর ও ব্যারাকপুর এবং বারাসাত ও দমদম এলাকায় বহু যায়গায় জলের তলায় রয়েছে।
রাস্তা ঘাট দেখা যাচ্ছে বহু যায়গায়। বহু জাতীয় সড়ক জলের তলায় রয়েছে। যানবাহন চলাচল বিগ্ন ঘটেছে বিভিন্ন যায়গায়।নদী পথে নৌকা ও স্টিমার এবং ভেসেল চলাচল বহু যায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।কলকাতার নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে বিভিন্ন যায়গায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে শেষ পর্যন্ত পরিস্তিতি কি অবস্থা রয়েছে।স্হানীয় মানুষ কে প্রশাসন কে সবধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
খুলনা টিভি/khulnatv