মেহেরপুরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে ইট ভাটা ঘেষে রাস্তাগুলো এখন মরণ ফাঁদ

মেহেরপুরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে ইট ভাটা ঘেষে রাস্তাগুলো এখন মরণ ফাঁদ

খুলনা বিভাগ

জুরাইস ইসলাম মেহেরপুর: মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা গুলো হালকা শীতে আর অল্প কোঁয়াশতে দুই এক দিনের গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তাগুলি যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁদামাটির রাস্তার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্ট দিচ্ছেন পথচারীরা। পথচারিদের অভিযোগ কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটাই বিক্রয়ের ধুম চলছে।

মাটি বহনের সময় জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তায় পড়লেও পরিস্কার করেনি ভাটামালিক কিংবা ট্রলি চালকেরা। এর খেসারত দিতে হচ্ছে পথচারিদের। অনেকেই সাইকেল ও মটরসাইকেল চালিয়ে যেতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। তবে প্রশাসন বলছে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বিভিন্নভাবে অবগত হয়েছি দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

জানাগেছে, মেহেরপুর জেলায় তিন উপজেলায় ১০৩ টি ইটভাটা রয়েছে। এসকল ইটভাটা শীতের শুরুতেই মাটি কেনা শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমির উপরের (টপ সয়েল)কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত স্কেবিটার মেশিন দিয়ে মাটিকাটা হয়। উক্ত মাটি ট্রলি দিয়ে ভাটায় বহন করে নিয়ে যায় ট্রলি চালকেরা। মাটি বহনের সময় ট্রলিরমাটি রাস্তায় পড়ে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টির পানিতে পাকা রাস্তাগুলি পিচ্ছিল হয়ে মরন ফাঁদে পরিনত হয়।

ধনখোলা গ্রামের রবিন আলী জানায়, গাংনী থেকে ধানখোলা রাস্তায় অন্তত তিনটা ভাটা রয়েছে। ভাটাগুলি বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি বহন করে নিয়ে আসছে। তার ওপর আবারো কাদা পড়ে । গতকালের বৃষ্টিতে আবারও এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি চলাচলের জন্য বিপদের হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন গাংনীর এক একটি রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ।

বিভিন্ন এলাকার শতশত পথচারিদের অভিযোগ অন্ত নেই। তাদের দাবী জনগুরুত্ব পূর্ণ রাস্তায় মাটি বহন বন্ধ না হলে অনেকেই প্রাণ হারাবেন।।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম বলেন,অনেকেই আমাকে ফোনে সংবাদ দিয়েছেন। ইটভাটার মালিক সমিতির নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা পরিস্কার করার জন্য। যদি না করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড.মুনসুর আলম খান কে জনদুর্ভোগের বিষয়ে করনীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছি।

Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.