তো এক যুবা চাষী ছিল, উচ্চাকাঙ্খী। কর্মঠও বটে। সে সপ্ন দেখে, উন্নত চাষাবাদের। সপ্ন একদিন কাগজে বন্দি হয়। দিন রাত খেটে সেই কাগজ এর সাথে যুক্ত হয় প্রমান যোগ্য একটা ছোট মডেল। সেই কাগজ আর মডেল যায় মহাজনের কাছে। মহাজন টাকার সপ্ন দেখে এই কাগজে। চাষীর জন্য বরাদ্দ হয় অঢেল টাকা।
এবার চাষী, মহাজন হয়ে যায়। চারপাশে বেতনভোগী চাকর আর চাকর, তাদেরকে সপ্ন বুঝিয়ে দেয়। অনেক উপরে একটা কুরসিতে বসে, বলে হও আর যেন অমনি হয়ে যাবে। একি! হয় না তো! চাষী কাম মহজান চিত্কার করে, তোদের বেতন দেই কি জন্যে। কিন্তু তাও হয় না। এবার চাকর হয় ছাটাই। মাঠে ট্রাক্টর পরে থাকে, গুদামে কীটনাশক। নব্য মহাজন চাকর খুঁজে। চাকর আসে চাকর যায়, সপ্ন থাকে কাগজের পাতায়।
নব্য মহাজন বুঝে না, করবে টা কি! এখন কি সে নিজেই ট্রাক্টর চালাবে, কীটনাশক দিবে, বীজ বুনবে? একদিন এক পাগল আসে তার দরবার এ, হা করে চেয়ে থাকে নব্য মহাজনের কুরসির দিকে। নব্য মহাজন বলে ও-ই পাগল ভাগ এইখান থেকে! পাগল বলে, পাগল আমি না তুই, নিজের ঘরে কেউ কারো চেয়ার এত উপরে রাখে? নিজের ঘরে কেউ কি পর সাজে?
khulnatv.com