ইসলামিক শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো সময়ের দাবি ! শেখ আবেদ আলী- (নির্বাহী সম্পাদক)

বাংলাদেশ

বর্তমান ইসলামিক শিক্ষা ব্যবস্থা যে ভাবে চলছে তার কোন সঠিক তথ্য কারো জানা নেই । যত্রতত্র যার তার ইচ্ছা মাফিক সাইন বোর্ড লাগিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে । কে মাদ্রাসাটি খুললেন তার মধ্যে সত্যিকারের ইসলামিক জ্ঞান আছে কিনা তা দেখার কেউ নেই । সরকারি কোন বোর্ড হতে অনুমোদন নেওয়ার ও প্ৰয়োজন পড়ে না । যার ফলে ঐ প্রতিষ্ঠানে কি পড়ানো হচ্ছে তার ও জবাব দিহিতার কোন দপ্তর নেই । ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রকৃত ইসলামিক  শিক্ষা পাচ্ছে না, তাছাড়া ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে ইসলামিক বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেওয়া হচ্ছে ।

জাতির একটি বিশাল অংশ ইসলামিক শিক্ষা ব্যাবস্থার সহিত জড়িত । লক্ষ লক্ষ ছাত্র মাদ্রাসা হতে পড়াশুনা শেষ করে । বাস্তব জীবনে কোন একটি মাদ্রাসায় চাকরি করে, মসজিদ এর ইমামতি করা অথবা কোন একটি ঘরভাড়া করে অথবা একটি জায়গা কিনে একটি মাদ্রাসা তৈরী করেন তার সংসার চালানোর জন্য ।  ফলে দেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ দেশ ও জাতি তাদের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে ।  তাছাড়া এই প্রকৃত জ্ঞানী ব্যাক্তিরা দেশের উন্নায়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারছেন না । দেশের বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায়  দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ।  বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের অমূল পরিবর্তন করেছেন ।  বিশেষ করে দেশের সন্ত্রাস শুন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছেন । 

দেশের উন্নয়ন বান্ধব সরকার এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । বাংলাদেশের অনুমোদিত শিক্ষা ব্যাবস্থার মধ্যে ইসলাম শিক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে আসতে হবে । বোর্ডের অনুমোদিত শিক্ষা ব্যাবস্থায় প্ৰত্যেকটি মাদ্রাসায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে । প্লে গ্রূপ হতে এইস.এস.সি পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষার একটি সাবজেক্ট থাকবে । ইসলাম শিক্ষার ঐ সিলেবাস এমন করে ডিজাইন করা হবে যে, একজন মুসলমান এইস. এস. সি পাশ করার পর তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ অর্থ বুঝে পাঠ করতে পারবেন এবং সহীশুদ্ধ ভাবে প্ৰয়োজনীয় মাসলা মাসায়েল দিতে পারবেন ।

এইস.এস.সি পাশ করার পর ঐ প্রকৃত ইসলামিক জ্ঞান অর্জনকারী একজন মুসলিম তিনি ডাক্তারী পড়বেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন, বিভিন্ন সাবজেক্ট -এ অনার্স পড়বেন । প্রকৃত ইসলামিক জ্ঞান অর্জনকারী ঐ ব্যাক্তি হবেন একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ, প্রশাসনিক অফিসার, আর্মি অফিসার, পুলিশ অফিসার , ট্যাক্স অফিসার, কাস্টম অফিসার ইত্যাদি । অর্থাৎ তারা তখন দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন । প্রকৃত এই ইসলামি জ্ঞান অর্জনকারী অফিসার/ রাজনীতিবিদ তারা হবেন সৎ ও ন্যায় পরায়ণ । যাদের সেবাই আমাদের এই সোনার বাংলা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে । ইসলামিক স্কলার যে ভাইয়েরা হতে চান তিনাদের এইস. এস. সি পাশ করার পর ইসলামিক স্কলার হওয়ার জন্য অনার্স, মাস্টার্স, পি.এইস.ডি ইত্যাদি সিলেবাস অনুযায়ী পড়ার সুযোগ রাখতে হবে । ইসলামিক স্কলার যারা হবেন তারাই শিক্ষকতায় আসবেন জাতি গঠনে ।

Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.