ষ্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার পর আবারও কক্সবাজার আদালতে প্রতারনার মামলা হলো সাবেক ডেসটিনি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান (এফসিএস)
বিরুদ্ধে।
মামলার বিবারনে জানা যায়, ডেসটিনি গ্রুপের নিজস্ব সম্পত্তি রাজধানীর ফার্মগেইটে অবস্থিত আলপনা ছায়াচিত্র (প্রাইভেট লিমিটেড) নামে ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে চাকুরী দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার আমলি কোর্টে মোঃ আনছারুল করিম (৩২) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী আনছার দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, আমি ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী ও পরিবেশক ছিলাম আর সেই সূত্রেই আমার সাথে মিজানুর রহমানের পরিচয়। নিজের জীবন ও পরিবারের ভরনপোষণ চালাতে যেই মাত্র আমি চাকুরী খুজতে ছিলাম ঠিক সেই মূহুর্তে মিজান নিজেকে আলপনা ছায়াচিত্র (প্রা:) মালিক দাবি করে আমাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং সে বলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সে নির্বাহী পরিচালক, একমাত্র মালিক ও বোর্ড সভার মাধ্যমে এককভাবে পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং ট্রেড লাইসেন্সের অধিকারী (যাহা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন,ঢাকা,ট্রেড লাইসেন্স নং ১১৯১৯১ তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৯ইং ইস্যু ) তাহার সিনেমা হলটি পরিচালনা করার জন্য লোক দরকার তাদেরকে সে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিবে।
যতদিন তার মালিকানা থাকবে ততদিন চাকরি করতে পারবে এবং পরবর্তীতে ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা দিবে। উপরোক্ত বাদী ও ৩নং স্বাক্ষী আসামীর সাথে যোগাযোগ করলে আসামী জানায় যে চাকরী করতে হলে তাকে ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা করে দিতে হবে এবং ম্যানেজার পদে মাসিক বেতন ২৫,০০০/= ( পঁচিশ হাজার) টাকা, অপারেটর পদে বেতন ১৫,০০০/=( পনের হাজার) টাকা নেওয়ার দুই (২) মাসের মধ্যে চাকরি দিকে ব্যর্থ হলে ০৫/০৩/২০২০ ইং চুক্তি অনুযায়ী নেওয়া টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। সে মোতাবেক বাদী ও ৩নং স্বাক্ষী আসামীর সহিত কথাবার্তা চুড়ান্ত করে এবং কথা হয় যে, শর্ত অনুযায়ী বাদী ও ৩নং স্বাক্ষী টাকা যোগাড় করে খবর দিলে আসামী বাদীর বাসা হইতে চুক্তি সম্পাদন করে টাকা আনবে। এমতাবস্থায় ৩নং স্বাক্ষী টাকা জোগাড় করলে বাদী আসামীকে সংবাদ দেয় এবং ১ম ঘটনার দিন ও সময়ে আসামী বাদীর বাসায় এসে স্বাক্ষীর মোকাবেলায় লিখিত চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে নগদ ৪,০০,০০০/= (চার লক্ষ) টাকা বাদীর নিকট থেকে গ্রহণ করেন। একই ভাবে ৩নং স্বাক্ষী নিকট হইতে কর্পোরেট সংবাদের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি করা হবে এবং মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন হবে বলে বাদীর বাসাই এসে ১,০০,০০০/= ( এক লক্ষ) টাকা স্বাক্ষীর সম্মুকে আসামী চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণ করেন।
আমাদেরকে চাকুরী দেওয়ার নিমিত্তে জামানত হিসেবে নেওয়া টাকার গ্যারান্টি চাইলে মিজান বলে আমি ২ মাসের মধ্যে চাকুরী না দিতে পারলে টাকা ফেরত দিয়ে দিবো কিন্তু তার দেওয়া সময় অতিবাহিত হলে তার সাথে যোগাযোগ করলে সে শুধু কাল ক্ষেপন করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ জন্মালে উক্ত সিনেমা হলের বর্তমান ম্যানেজার মো: শামসুদ্দিন রাকিবের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় উক্ত সিনেমা হলের মালিক ডেসটিনি গ্রুপ পি এস ২ কোর্টের আদেশে মিজানুর রহমান উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছিলো। প্রতারণামূলকভাবে জালিয়াতি করে ট্রেড লাইসেন্স করেছে।
মিজানুর রহমান অত্র সিনেমা হলের কেহ না। তার সাথে মালিকানার কোন সম্পর্ক নাই। এমন কথা শুনে আমরা কয়েকজন স্বাক্ষীগনসহ গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে মিজানুর রহমানের বর্তমান ঠিকানায় গেলে নগদ টাকা ও চাকুরী দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করলে বিজ্ঞ আদালতের স্বরনাপন্ন হই এবং বিজ্ঞ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি।
উল্লেখ্য গত মাসে কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ১নং আমলি কোর্টে কুমিল্লা নগরীর লষ্কর পুকুর পাড় ২য় মুরাদপুরের মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে হারুন মিয়া(৩১) বাদী হয়ে মোট তিনজন ১৫ লক্ষ টাকার একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে। এই নিয়ে দ্বিতীয় মামলা হলো মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।