০১। আপনি যদি কখনো কর্মক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ভুলত্রুটি করে ফেলেন তবে সবার আগে তা আপনি নিজেই গিয়ে বসকে জানাবেন কোন কলিগ জেনে ফেলার আগে। কেননা, আপনি বসকে জানানোর আগে কলিগ জেনে ফেললে পরবর্তীতে বসের নিকটে সঠিক ইনফরমেশন এর পরিবর্তে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ইনফরমেশন বসের কাছে চলে যাবে।
২। আপনি কবে ছুটি নিবেন? ছুটি নিয়ে কোথায় যাবেন? কি করবেন? কলিগকে জানানো যাবে না, ছুটি পাশ হওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত।
৩। আপনি কখনো কোন অন্যায় কর্মকান্ড করে ফেললে তবে সেটা কোম্পানির মালিক জানলে এতটা ক্ষতি হবে না, যতটা ক্ষতি হবে, আপনার কলিগ জানলে।
৪। বস কখনো কোন কাজের জন্য আপনাকে বাহবা বা প্রশংসা দিলে তা গোপন রাখুন। কলিগদের জানালে তারা আপনার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে ক্ষতি করতে পারে।
৫। আপনি আর কোন নতুন চাকরি খুঁজছেন কি না? বর্তমান চাকরি ছেড়ে দিবেন কি না? এই চাকরি আর কতদিন করবেন? এই জাতীয় প্রশ্ন করে কলিগরা আপনাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করতে পারে। সেই ফাঁদে পা দিবেন না। বলবেন আমার বর্তমান চাকুরীটাই ভালো লাগে। আল্লাহ যতদিন রিযিকে রেখেছেন ততদিন করে যেতে চাই ইনশাআল্লাহ।
৬। বসের বদনাম বসের সামনে করলেও এতো ক্ষতি নেই, কলিগদের সামনে করলে যতটা ক্ষতি হতে পারে। অতএব, সাবধান।
৭। নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তা ভাবনা, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত গোপনীয় বিষয় কলিগদের সাথে শেয়ার করবেন না।
৮। কথা কম বলবেন। কাজের এবং প্রয়োজনীয় কথা বাদে অহেতুক গাল গল্প করা ত্যাগ করবেন। কথা বলার আগে একবার চিন্তা করবেন আপনি যা বলছেন তাতে কলিগ কোন দোষ খুঁজে বের করে কি না আবার?
৯। কলিগ ভালো হোক খারাপ হোক তার প্রশংসা করবেন। তবে আপনার উপরে কোন আঘাত আসতে দেখলে তাৎক্ষনিক জবাব দিবেন নয়তো ভবিষ্যতে সে আরো বেপরোয়া হয়ে যেতে পারে। তাই অঙ্কুরেই থামিয়ে দিবেন।
১০| আপনার বেতন, বোনাস, ওভারটাইম, ইনক্রিমেন্ট যথাসম্ভব না বলার চেষ্টা করবেন।