হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুমাইয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ নামের এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-৪। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল তালতলা এলাকার সোহাগ মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান। নিহত সুমাইয়া আক্তার রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার মাসুদ রানার স্ত্রী। তাদের আড়াই বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তারা ৩ জনেই ওই বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। নিহতের স্বামী মাসুদ রানা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
আটককৃত শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩২) নাটোর জেলার লালপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি একই বাসায় পাশের রুমেই ভাড়া থাকতেন। পেশায় ছিলেন পোশাক শ্রমিক। বাড়ির মালিকের স্ত্রী জানান, সুমাইয়ার মেয়ের কান্না শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন হাতে রক্ত মাখানো অবস্থাতেই ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল শহিদুল ইসলাম, বাড়ির অন্য রুমের ভাড়াটিয়া মো. সবুজ বলেন, বাড়ির মালিক ডাকলে আমি আমার রুম থেকে বের হয়ে আসি আর রুমে গিয়ে দেখি ওই নারীকে চাকু দিয়ে গলা কেটেছে শহিদুল। ওই লোক চাকু নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলো।
পরে আমি বাইরে গিয়ে আরও কয়েকজনকে ডেকে এনে পুলিশে খবর দেই। র্যাব জানায়, গত ১ বছর ধরে একই বাসায় পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকার সুবাদে সুমাইয়া আক্তারের সাথে বিদ্যুৎ এর সাথে পরিচিত হয় । পরিচয়ের পর থেকেই সুমাইয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বিদ্যুৎ, তার অবৈধ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মঙ্গলবার দুপুরে সুমাইয়ার কক্ষে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলায় আঘাত করে, এতে অচেতন হয়ে পরলে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে শহিদুল। র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎকে আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে হত্যার ঘটনার কথা স্বীকার করেছে বিদ্যুৎ। সে প্রেমে প্রত্যাখান হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি আরও বলেন, ওই গৃহবধূকে এক বছর ধরে উত্যক্ত করে আসছিল শহিদুল কিন্ত গৃহবধূ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় কয়েকটি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে শহিদুল।