মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী বাজারে নিরাপদ শাক সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন কালে বক্তারা বলেন বর্তমানে উচ্চ মাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক বালাইনাশক ও সার ব্যবহার করে উৎপাদিত শাক-সবজি খাওয়ার কারণে মানবদেহে বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হয় যেমন-চর্মরোগ, প্রতিবন্ধিতা, বন্ধাত্ব, ক্যান্সার, হৃদরোগ, খিঁচুনি , উচ্চ রক্তচাপসহ আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কোন কোন বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশের প্রভাবে শরীরে বেশি দিন থাকে যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে লিভার,কিডনি, রক্ত ও চার্বিতে জমা হয়। ফলে নানা ধরণের রোগ দেখা দেয়।
নিরাপদ সবজি যে সকল শাক-সবজি মানুষের শরীরের জন্য নিরাপদ, রোগ-জিবাণু ও বিষমুক্ত।প্রতিদিন আমরা যেসব শাক সবজি খাচ্ছি তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ? শাক-সবজি চাষে জৈব সার, সবুজ সার , খামারজাত সার বেশি পরিমানে ব্যবহার করা। রাসায়নিক বালাইনাশকের পরিবর্তে জৈব বালাইনাশক ও পোকা দমনের জন্য সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, রঙ্গিন আঠালো ফাঁদ ও বিষটোপ ব্যবহার সাক সবজি উৎপাদন করতে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করণ ও ক্রেতাদের নিােপদ সবজি কেনা বেচার নির্দিষ্ট স্থানের বড়ই অভাব। এসব কথা ভেবেই মানুষকে সাক সবজি খাওয়া উচিৎ।
শাক-সবজিতে বালাইনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু তা প্রয়োগের পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বিষাক্ত উপাদানের প্রভাব কমে যায়। তখন সবজি গ্রহন অনেকটা নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়। ন্যায্য মূল্যে নিরাপদ সবজি পাওয়া গেলে বাজার থেকে বিষযুক্ত অনিরাপদ শাকসবজি কিনে পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে না ফেলার পরামর্শ দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম ও কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন।
আজ (২০ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় গাংনী হাসপাতাল বাজারে নিরাপদ সাক সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম। পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির তত্বাবধানে ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে কীটনাশকমুক্ত সাক সবজি মানুষের মাঝে ন্যায্যমুল্যে ক্রয় বিক্রয় করনের লক্ষ্যে একেন্দ্র চালু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলা কুষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন , পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মহাম্মদ মোশারফ হোসেনসহ বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।