খন্দকার সাইফুল নড়াইলঃ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নামে ফেসবুকে কঁটুক্তিকারী ভারতের নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পক্ষে একটি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে নড়াইলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যায় টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় একজন কলেজ শিক্ষকসহ অন্তত ১০ জন ছাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দা ও ২ পুলিশ সামান্য আহত হয়েছেন।
বিক্ষুব্ধ জনতা মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস, শিক্ষক প্রশান্ত কুমার রায় এবং অজিত কুমার বিশ্বাসের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। পরে নড়াইল থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র রাহুল দেব অপিকে আটক করেছে। শনিবার (১৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় সদর উপজেলার মির্জাপুর আদর্শ কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর কলেজের প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র জীবন শেখ জানান, একই বিভাগের ছাত্র রাহুল দেব অপি ফেসবুকে নিজস্ব আইডিতে গত দু’দিন আগে নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে মন্তব্য করেন, ‘প্রনাম নিও বস “নূপুর শর্মা” জয় শ্রী রাম’। এ পোস্টটি তাকে মুছে ফেলতে বললেও সে তা করেনি। শনিবার কলেজে এসে বিষয়টি প্রিন্সিপ্যাল স্যারকে জানালেও তিনি সন্তোষজনক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার জনগন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে স্থানীয় বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ এসেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি।
এলাকার ৪ থেকে ৫ শ ছাত্র ও এলাকাবাসি বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় কলেজের গ্যারেজে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মির্জাপুর আদর্শ কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সদর উপজেলা আ. লীগ সভাপতি অচিন চক্রবর্ত্তী জানান, আমি জরুরি কাজে ঢাকায় রয়েছি। তবে কলেজের অধ্যক্ষ আমাকে বিষয়টি জানালে আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ফোন করলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে এ ব্যাপারে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি শওকত কবীর বলেন, এ ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।