মেহেরপুর প্রতিনিধি জুরাইস ইসলাম: মেহেরপুরে আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.মবাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা নির্বাচনে অংশ নেয়না তারা নৈরাজ্যবাদি, স্বৈরাচারী, গণতন্ত্রের শত্রু।
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটার মাধ্যমকে ব্যাবহার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশে অরাজগতা সৃষ্টি চলেছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য শেষ চেষ্টা চালিয়েও ব্যার্থ হয়েছিল। এখন নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন।
কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ঠিক তেমনী আলবদর আলসামস,পাকিস্থানীদের পেতাত্মারা আজো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে রেখেছে। জামাত বিএনপিরা আগেও যেভাবে পরাজিত হয়েছে এখনও সেই ভাবেই পরাজিত হচ্ছে। জনপ্রিয়তা হারিয়ে তারা আজ জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিনত হয়ে এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক ভাবে ছত্রভঙ্গ হয়েও দেশে তারা ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে দাঙ্গা,হাঙ্গামা লাগিয়ে রেখেছে।
তাদের এই চলমান ষড়যন্ত্রকে দেশের মানুষকেই মোকাবেলা করতে হবে। ইউনিয়ন,ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে যারা আওয়ামীলীগ করেন তারাই আওয়ামীলীগের মুল শক্তি। তৃণমুলের আওয়ামীলীগরাই শেখ হাসিনার প্রধান সৈনিক। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি।
প্রধান ধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মোজাম্মেল হক। মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এমপি, অ্যাডভোকেট ঝর্ণা সরকার এমপি, পারভিন জামান কল্পনা, মেহেরপুর-২ আসেনর এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকগন উপস্থিত ছিলেন ।