মোঃ জিয়াউদ্দীন নায়েব: খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা বাজার এলাকায় অপহৃত আমিনুরের (১৯) মরদেহ পাওয়া গেছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে আগড়ঘাটা বাজারের অপর প্রান্ত শাহজাতপুরের দিকের কপোতাক্ষ নদে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাওসার আলী জোয়াদ্দার বলেন, আমিনুলকে যেখান থেকে মেরে নদীতে ফেলা হয় তার প্রায় ১ হাজার ফুট দূরে কপোতাক্ষ নদে ওর মরদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশকে জানানোর পর আমিনুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে কলেজ ছাত্র আমিনুর রহমানকে অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) নিহতের পিতা ছুরমান গাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
হত্যাকান্ডের গত তিনদিন ধরে কপোতাক্ষ নদে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে বুধবার তার মরদেহ পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডে গ্রেফতার একমাত্র আসামি ফয়সাল খুনের বর্ণনা করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে জবানবন্দি দিয়েছেন মঙ্গলবার বিকেলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ওই আদালতের বিচারক মো: মনিরুজ্জামান।
নিহত আমিনুর উপজেলার কপিলমুনির শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আটককৃত ফয়সাল সরকার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান জিল্লার ছেলে।এর আগে ৭ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে আমিনুরকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় ফয়সাল।
বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাইকগাছা উপজেলার আড়ংঘাটা বাজারের পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে মিলিত হয় তারা দু’জন। প্রথমে ঘুমের বড়ি মিশ্রিত জুস খাওয়ানো হয় আমিনুলকে। এরপর তারা উভয়ে একসাথে সিগারেট সেবন করে। আমিনুরের জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হলে দা দিয়ে গলায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে নদীতে ফেলে দেয় ফয়সাল।
আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে ঐদিন রাত ১০ টার দিকে তার পিতা ছুরমান গাজীর কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। এসময় মুক্তিপণের টাকা পাইকগাছা ব্রীজের নিচে রাখতে বলা হয়। এরপর অপহৃত আমিনুরের পিতা ছুরমান গাজী তার কথামত দাবির কিছু টাকা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দূর থেকে লোক দিয়ে নিরীক্ষণ করেন। পরে ফয়সালকে টাকা নিয়ে ফেরার সময় আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।