তালায় সারা বছরব্যাপী পুষ্টিযুক্ত সবজির ঘাটতি পূরণে বসতবাড়ির প্রতি ইঞ্চি জমিতে পুষ্টি বাগান স্থাপন সাড়া ফেলেছে। এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার বসত বাড়ির প্রতি ইঞ্চি জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা জুড়ে ৩৬ ব্লকে প্রতি ইউনিয়নে একশত পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সকল কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করা হচ্ছে।
এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে সংশ্লিষ্টরা জানান।উক্ত কর্মসূচির আওতায় তালা উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে খরিপ মৌসুমে শাকসবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার, বেড়া, খুঁটি ও অন্যান্য উপকরণ সরবারাহ সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যে সার বীজ গ্রহণপূর্বক বাড়ির প্রতি ইঞ্চি জমিতে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পুষ্টি সবজি চাষ শুরু করেছেন পারিবারিক কৃষণ-কৃষাণীরা।
তারা তাদের বসতবাড়ির আঙ্গিনায় লাল শাক, পুঁইশাক, ঢেড়স, বরবটি, গাজর, কুমড়া, কলমি, বেগুন, গিমা কলমি, বেগুন ও করলার বীজ চাষ করেছেন।বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগানকারী তালা সদর ইউনিয়নের আগোলঝাড়া গ্রামের মো: নজরুল ইসলাম ও হেনা খাতুন জানান, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক তার আঙিনায় পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান করতে সমুদয় সার বীজ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেয়ে এই সবজি চাষ করেছেন।
খুব ভালো সবজি হয়েছে আগামীতে তিনি নিজ উদ্যোগে এই পদ্ধতিতে তার কৃষি জমিতে সবজি চাষ করবেন বলে জানান।তারা আরও জানান, পুষ্টি বাগান করতে বিনামূল্যে সার ও বীজের পাশাপাশি অন্যখাতে সরকারীভাবে সহায়তা পেলে কৃষকরা এমন পদ্ধতিতে সবজি চাষে আরও আগ্রহী হবেন।তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাড়ির আঙ্গিনায় প্রতি ইঞ্চি জমিতে পুষ্টি বাগান স্থাপন করা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।