মাদরাসার অধ্যক্ষকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যান আটক

মাদরাসার অধ্যক্ষকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যান আটক

খুলনা বিভাগ

কয়রায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগে কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও।

শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোরে খুলনা শহরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করেছে র‍্যাব-৬। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম দোহা জানান, ভোরে ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেন র‍্যাব সদস্যরা। সকালে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এর আগে গত ১৮ জুলাই বাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে কয়রা উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ ওঠে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে কয়রা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষের স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা।

বাহারুল ইসলাম কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।মামলার বাদী এজাহারে উলে­খ করেন, ১৮ জুলাই মাদ্রাসায় ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় ১৫-২০ জন তাকে জোর করে কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যান।

পরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন চেয়ারম্যান। তার চোখে, ঘাড়ে, কানে, পিঠে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। সেখান থেকে তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানেও তাকে বেদম মারধর করা হয়।

এতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কানের পর্দা ফেটে যায়। সেখানে আটকে রেখে অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর কয়রা থানার এস আই মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, মাদরাসায় ইউপি চেয়ারম্যানকে সভাপতি না করায় তার নির্দেশে আমাকে মারধর করা হয়েছে।

Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.