এসিড নিক্ষেপ করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি কালাম। আবারও মারপিটে গুরুতর আহত -৩ khulna tv

এসিড নিক্ষেপ করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি কালাম, আবারও মারপিটে গুরুতর আহত-৩

ধর্ম ও জীবন

মোঃ জিয়াউদ্দীন নায়েব: খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা সোলাদানা ইউনিয়নের খাটুয়ামারি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারপিটে গুরুতর আহত (৩) অভিযোগে জানাজায় খাটুয়ামারি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী ফকির এর ছেলে ইবাদুল ফকির। ইবাদুল ফকির এর ছেলে রাহাতুল ইসলাম ও তার মেয়ে নদী খাতুনকে,এক‌ই গ্রামের মৃত ওয়ারেস সরদার এর ছেলে কালাম সরদার,বারিক সরদার, মৃত জয়নদ্দীন মোল্লার ছেলে ছিদ্দীক মোল্লা, মৃত মনসুপ ঢালির ছেলে মজিদ ঢালি, মজিদ ঢালির ছেলে লিটন ঢালি ও নুনু ঢালির ছেলে রিপন ঢালি।

পূর্ব শত্রুতা ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ইবাদুলের বাড়ির সামনে ইবাদুলকে দেখে অতর্কিত ভাবে দেশি অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকলে তখন ইবাদুল ডাক চিৎকার করলে তার ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী সুনতে পেয়ে এগিয়ে আসলে তাদের‌ও মারপিট করে ইবাদুলের ছেলে ও মেয়ের হাত ভেঙে দেয়।

স্থানীয়রা জানতে পেরে এবাদুল ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতলে ভর্তি করে । এবিষয়ে ইবাদুলের মা অরুণা খাতুন জানান ২০০০ সালে আমাকে ও আমার শিশু কন্যা সালমা খাতুনকে এসিড মেরে ঝলসে দিয়েও খ্যান্ত হয়নি কালাম সরদার তার সহযোগীরা, এবিষয় নিয়ে ঐসময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হলে কালাম ও তার সহযোগীদের নামে পাইকগাছা থানায় মামলা হয়েছিল।

এবিষয়ে পাইকগাছা হাসপাতালের কর্মরত ডা‌ঃ খুকুমণি খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইবাদুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে রাহাতুল‌ ও নদীকে ভর্তি করা হয়েছে কিন্তু নদীর হাতে গুরুতর আঘাত লাগায় তার হাত ভেঙে গেছে। এবিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি অভিযোগে পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনার এবিষয়ে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মারপিটের ঘটনা ঘটেছে আমি ইবাদুল ও তার পরিবারকে হাসপাতালে ভর্তি হ‌ওয়ার পরামর্শ দিয়েছি ।

khulna tv

Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.