খুলনা টিভি ডেস্ক: র্যাব-৬, তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, প্রতারকচক্র, মানব পাচারকারীদের গ্রেফতার এবং মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (যশোর ক্যাম্প) এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, গত ১৭/১২/২০২১ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম আব্দুর রহমান রাকিব (২৮) বাসা থেকে বের হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল ধানাধীন হুশতলা কবরস্থানের দক্ষিণপাশে বিশের মোড়ে জনৈক শহিদুলের চটপটির দোকানের ২০০ গজ দক্ষিণে কাঁচা রাস্তার উপর এজাহারনামীয় আসামীরা সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু মারিয়া রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে।
ভিকটিমের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ভিকটিম তাদের জানায় ১নং আসামী সবুজ তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমের ডান পায়ের উরুর উপরে আঘাত করে, ৪নং আসামী আওয়াল তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া ভিকটিমের ডান পায়ের উরুর বাহিরে আঘাত করে, ২নং আসামী শান্ত তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া ভিকটিমের বাম পায়ের হাটুর উপরে আঘাত করে, ৫নং আসামী সজিব তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিমের নিতম্বের বাম পাশে আঘাত করাসহ আন্যান্য আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিকটিমকে এলাপাথারীভাবে মারপিটসহ গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে আসামীরা পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের আত্নীয়-স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের চাচা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-৪৫, তারিখঃ ১৮/১২/২০২১ইং, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত মামলাটি র্যাব-৬ (যশার ক্যাম্প) এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।