স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর আসামিরা বাদীর পরিবারসহ সাংবাদিকদের দিকে উত্তপ্ত বাক্য ছুড়েছে। রায় ঘোষণার পর আদালতের কাঠগড়া থেকে রাজিনের মাকে হুমকিও দিয়েছে তারা।
সোমবার (২৩ মে) পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। সকাল থেকে গণমাধ্যম কর্মিরা আদালত চত্বরে উপস্থিত হতে থাকেন। সাংবাদিকদের সেখানে দেখে উত্তেজিত হয় আসামিরা। তাদের লক্ষ্য করে এজলাস থেকে জুতা নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ দরজা বন্ধ করে দেয়। এছাড়া থু-থু, গালিগালাজও করতে থাকে।
দোষী সাব্যস্ত করে আদালত প্রত্যেককে ৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে আসামিরা ন্যায় বিচার পায়নি বলে চিৎকার করতে থাকে। একপর্যায়ে একজন সাংবাদিক উপস্থিত হলে তাকে উদ্দেশ্যে করে পানি নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে এজলাসের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। দুুপুর ২টার দিকে পুলিশ আসামিদের নিয়ে কারাগারে উদ্দেশ্যে রওনা হলে সাংবাদিকদের দেখে আসামিরা গালাগালি করতে থাকে।
কারাগারে যাওয়ার পথে আসামিরা আদালত চত্বর থেকেই ন্যায় বিচার পায়নি বলে শ্লোগান দিতে থাকে। আসামিদের এরূপ আচারণ দেখে আদালত চত্বরে উপস্থিত মানুষ হতবাক হয়ে যায়।এজলাসে দাড়িয়ে এত সাহস পেল কোথা থেকে এটা নিয়ে সচেতনমহল খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এত কিছুর পরও আদালত বা আইন তাদের কোন প্রকার শাস্তি দিল না। বীর দর্পে তারা আদালত চত্বর থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে চলে যায়। এতটা উদ্ধত সাহস কিভাবে পেল? আর পুলিশ কেন চুপ! ভাবার বিষয় ব্যাপারটা।
মাত্রতো ৭ বছর! এরপর জেল থেকে বেরিয়ে তারা কি করতে পারে? এরপরও সরকার নিরব, আইন নিরব, পুলিশ শুধু পু-পু বাঁশি বাজিয়েই দায়িত্ব শেষ করল।