রাতে দেরী করে ঘুমান? ডেকে আনছেন এই বিপদ!
ঘুম আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই দরকার ।সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে আবার নতুন দিনের জন্য কর্মোদ্যমে সাহায্য করে এই ঘুম।তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অনেকে রাত একটা, দুটো কিংবা তিনটে অবধি জেগে ঘুমাতে যাচ্ছে আর স্বভাবতই ঘুম থেকে উঠছেন দশটা,এগারোটা-এরফলে সকালের শুদ্ধ বাতাসের সান্নিধ্যে তারা আসতে পারছেন না।
গবেষনায় দেখা গেছে যে সব মানুষ দেরী করে ঘুমোন তারা স্বাভাবিক সময়ে যারা শুতে যান ও ঘুম থেকে ওঠেন তাদের তুলনায় বেশী অসুস্থ হন এবং ক্ষতি হয়।জেনে নিন সঠিক সময়ে না ঘুমিয়ে ঠিক কী কী বিপদকে আপনি আহ্বান জানাচ্ছেন-
1. ডায়াবেটিস-যারা দেরী করে ঘুমাতে যান তাদের ডায়াবেটিস বেশী তাড়াতাড়ি গ্রাস করে।
2. দেরী করে ঘুমনোর ফলে হার্টে প্রভাব পড়ে তারা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
3. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় যার ফলে যে কোনো সহজ বিষয় জটিল আকার ধারণ করে ।
4. স্বাস্থ্যের হানি ঘটে ।
5. খাবারে অনীহা দেখা যায়।
6. মাথার চুল পড়ে যায় ।
7. অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে চোখ বসে যায় এবং ঘুমালেও ক্লান্তি দূর হয় না।
8. ক্লান্তি দূর না হওয়ার ফলে অলসতা দেখা যায় 9.চোখের নীচে কালো ছাপ পড়ে
10. স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
11. পেটের নানান সমস্যা দেখা যায় ।
12. স্মৃতিশক্তির লোপ ঘটে।
13. মানসিক চাপ বাড়ে যার ফলে ডিপ্রেসন দেখা যায়।
13.হঠাত করে ভুলে যাওয়া রোগ দেখা যায়।রাতে যারা জেগে থাকেন স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় বেশী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।যাদের রাত জেগে কাজ করতে হয় বা পড়াশুনা করেন তাদের যতসম্ভব উচিত তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকাল করে উঠে কাজ সারা।এতে শরীর মন উভয় ভালো থাকে ।সকালের বাতাস স্বাস্থ্যকর তাই চেষ্টা করুন বারোটার মধ্যে ঘুমিয়ে ছ’টা-সাতটা মধ্যে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া।
একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফোন যার ফলে অনেকে সারারাত চ্যাটিং ফেসবুক করে তিনটে চারটের দিকে ঘুমতে যান আবার কাজ থাকায় সকালে উঠে যান এই স্বল্প পরিমাণ ঘুমানোর জন্য আয়ু কমে ।চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ।এছাড়া মাইগ্রেন ব্যাথা তীব্রতর হয়।তাই রাতে এগারোটা মধ্যে ফোন রেখে বারোটাই ঘুমাতে যান।
এই তথ্যগুলি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, আপনিও জানুন তাদেরকেও জানান, শেয়ার করুন।নীচের আর্টিকেল টা ক্লিক করুন ;পড়লে চোখ কপালে উঠবে।