তেরখাদা প্রতিনিধিঃ খুলনা-০৪ আসন তথা রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া উপজেলায় কাঙ্খিত গভীর নলকূপ এবং রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং বরাদ্দ প্রদান/স্থাপনের মাধ্যমে পানীয় জলের কষ্ট লাঘব করে ইতিহাস গড়লেন খুলনা-০৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ- সভাপতি, কৃতি ফুটবলার জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী। শুধু সরকারি সামান্য অর্থ জমা দিয়ে প্রায় লাখ টাকা মূ্ল্যের গভীর নলকূপ পাচ্ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাধীনতার পর পানীয় জলের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অপরিমান গভীর নলকূপ বরাদ্দ এনে তা জনকল্যাণে তথা জনগণের দোর গোড়ায় পৌছে দিয়ে অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। জনসেবায় সার্বক্ষণিক আত্মনিয়োগ করে জনাব সালাম মূর্শেদী সাধারণ মানুষের মন কেড়ে নিয়েছেন। সূত্রমতে, মাত্র কয়েক বছর আগে এ অঞ্চলে পানীয় জলের খুবই কষ্ট ছিল। অস্বাভাবিক কদর ছিল গভীর নলকূপের। একটা গভীর নলকূপের আশায় মানুষ হা-হুতাশ করতো। সাধারণ মানুষ নলকূপ পাবার আশায় দৌড়ঝাপ দিত বিভিন্ন জেলা উপজেলায়। ধর্ণা ধরতো বিভিন্ন সরকারি, বে- সরকারি সংস্থায়। সে সময় গভীর নলকূপ পাওয়াটাই ছিল ভাগ্যের ব্যাপার মাত্র। তখন অনেকেই বলতেন, গভীর নলকূপ মানেই “ডুমুরের ফুল”। অনেকে বলতেন “সোনার হরিণ”। অবশ্য এটি বেশী দিনের কথা নয়। আর সেই সোনার হরিণ নামের গভীর নলকূপ জনাব সালাম মূর্শেদী অতি অল্পদিনেই জনগণের মুখের কাছে/ হাতের কাছে এনে দিয়ে অতীতের সকল ইতিহাস ভেঙ্গে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এঁর আস্থাভাজন সংসদ সদস্য জনাব সালাম মূর্শেদী অগণিত গভীর নলকূপ এবং রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার বরাদ্দ এনে সকল শ্রেণি পেশার লোকদের মাঝে বিতরণ ও স্থাপন করে দেয়ায় গভীর নলকূপের চাহিদা/পানীয় জলের অনেকাংশে কমে গেছে। পানীয় জলের অভাব দূরীভূত হয়েছে। আগেরমত সেইভাবে জনগণ আর দৌড়ঝাপ দিচ্ছে না। একটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। জানা গেছে, জনগণের শতভাগ চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী মহোদয়ের। তিনি জনগণের পাশে থেকে সুখ দুঃখের সাথী হয়ে সকল ক্ষেত্রে কল্যাণ বয়ে আনার জন্যে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। সংসদ সদস্য জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী খুলনা -৪ আসন তথা রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ায় পানীয় জলের ঘাটতি পূরণে এবং শতভাগ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি এর আগে বিভিন্ন সভা সমাবেশে জনসমক্ষে বলেছিলেন, এই অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা থাকবেনা।অচীরেই সাধারণ মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। জনাব সালাম মূর্শেদী অল্প দিনের মধ্যে মানুষের চাহিদা পূরণের মধ্যে দিয়ে তা বাস্তবে দেখিয়ে দিলেন। গভীর নলকূপের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রেখে বিশুদ্ধ পানি পান করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শত শত রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার বরাদ্দ এনে তা-ও জনগণের মাঝে বিতরণ করছেন। প্রতিটা ক্ষেত্রে জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হলো, জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে যারা সুষম সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন, যাদের খবর নেয়নি কেউ, যাঁরা কোনোদিন আশাও করেন নি এসব সেবার আওতায় আসবেন, তাদের মাঝে এসব সুষম সেবা পৌছে দিয়ে মানবতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী। মানব প্রেমিক এবং গরীব, দুঃখী মেহনতী মানুষের অত্যন্ত কাছের মানুষ, অসহায়দের অকৃত্রিম বন্ধু জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী মহোদয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই সুষম সেবা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা সকলের। এ বিষয়ে খুলনা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন, বাংলাদেশের সুষম উন্নয়নের যাদুকর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এঁর নিরলস প্রচেষ্টার ফসল আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ, উন্নয়নশীল বাংলাদেশ,মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের মাইল ফলক। শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়নের রোল মডেল।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সকল প্রকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গভীর নলকূপ স্থাপনে সরকার নির্ধারিত সামান্য অর্থ ছাড়া বাড়তি কোনো অর্থ লাগে না।তিনি সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি জনগণকে সাথে নিয়ে রূপসা- তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সংসদ সদস্য জনাব আব্দুস সালাম মূর্শেদী সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।