নিজস্ব প্রতিনিধি ঃখুলনার পাইকগাছা উপজেলায় চলছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ করাত কলের রমরমা ব্যাবসা। সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চলছে এসব স’ মিল (করাত কল)। ওইসব স’ মিলের মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত গাছ কাটা হচ্ছে। লাইন্সেস না থাকায় করাতকল মালিকরা গাছ কেনাবেচার ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ মানছে না। অবাধে কিনছেন গাছ। ফলে একদিকে যেমন বেড়েই চলেছে অবাধে বৃক্ষ নিধন।
অন্য দিকে প্রতিনিয়ত হুমকির সস্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪নং দেলুটি ইউনিয়নে সৈয়দখালি( সাধুরঘাট বাজারে) অবস্থিত জোনায়েদ স’মিল (করাতকল)। উক্ত করাত কলের মালিক আনিসুর রহমান গাজী। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে লাইসেন্সবিহীন স’মিলের ব্যবসা করে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে উক্ত স’মিলে রাতের আধারে পাশ্ববর্তী সুন্দরবন থেকে সুন্দরী, গরান, পসুর সহ বিভিন্ন মুল্যবান গাছ স’মিলে কাটা হয়। স’মিলের মালিক আনিসুর রহমানের রয়েছে চোরাই সিন্ডিকেটের সাথে গভীর সখ্যতা। বিশ্বস্থ সুত্রে আরো জানা যায় পুলিশে চাকরীরত জনৈক একজনের ভাই ও বাগেরহাট কোস্টগার্ডে চাকরীরত জনৈক এক ব্যক্তির সহযোগিতায় নাসির গাজি এলাকায় তার এই অবৈধ স’মিলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল সাধুর ঘাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে যানা যায় তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের কথা। সাধুর ঘাট বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, “স’মিলের শব্দ এবং কাঠের গুড়ায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে”। বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক আক্তার ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী শহীদুল ইসলাম বলেন নাসির গাজি আমাদের এলাকার লোক না। তার বাড়ি কয়রা উপজেলায়, সে আমাদের এলাকায় এসে স’মিলের ব্যাবসা করে। আমরা তার খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি এই সমিলের কোন সরকারী নিবন্ধন নাই। সে এখানে কিভাবে ব্যাবসা করছে সেটা সরকারী লোকজন ই বলতে পারবে।
মিল মালিক আনিসুর রহমান বলেন, স’মিলের কোন কাগজপত্র করিনি। কয়রায় থাকতে আমার বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছিল। তার পর আমি এলাকা ছেড়ে এখানে চলে আসি। নিবন্ধনের জন্য ১০ বছর আগে আমি কাগজ পত্র জমা দিয়েছিলাম কিন্তু এখনও আমি স’মিলের কোন লাইসেন্স পাইনি।
দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে আমার এই স’মিলের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি।