প্রতারক, মামলাবাজ, সিরাজুল ইসলাম গং কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, খুলনা অঞ্চল।
জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সিরাজুল ইসলামকে বিগত ১০/০৫/২০০৯ ইং-তারিখ প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়। উক্ত বরখাস্তের বিরুদ্ধে সিরাজুল ইসলাম মোকদ্দমা নং- ২৯১/২০০৯ দায়ের করেন এবং পরবর্তীতে উক্ত বরখাস্তের আদেশ মেনে নিয়ে সিরাজুল ইসলাম উক্ত মোকদ্দমা নং-২৯১/২০০৯ প্রত্যাহার করে নেয়। প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বরখাস্ত হওয়া সত্বেও দেশের বিভিন্ন আদালতে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
রংপুর, মাদারীপুর,নড়াইল, যশোর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জ সহ প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বেনামী প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের সহিত সম্পর্কবিহীন লোকদের দিয়ে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির দাবী করিয়া ভুয়া ও মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়া আসিতেছেন। প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহম্মদ যাহাতে প্রশিকার কোন সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর করিতে না পারেন সিরাজুল ইসলাম এই মর্মে
মহামান্যহাইকোর্টে ৩১৫৪/১২ নং মোকদ্দমা দায়ের করে উক্ত মামলায় পরাজিত হইয়াছেন। পরবর্তীতে তিনি একই বিষয় নিয়ে- মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে সি,এম,পি-৪৮৬/২০ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানী অন্তে তাহা খারিজ করিয়া দেন। উচ্চ আদালতে সকল সিদ্ধান্ত গোপন করিয়া প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র খুলনা হইতে মোঃ রবিউল ইসলাম, যাহার কর্মী নং-২২৮৭, পদত্যাগের তারিখ-০১/১২/২০১২ কে দিয়ে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ও যশোর
বাঘারপাড়া উন্নয়ন এলাকা ২টি সম্পত্তি নিয়ে রবিউল ইসলাম কে বাদী করে মিথ্যা ও হয়রানী মুলক মামলা দায়ের করেন। যা এখনও চলমান। প্রকৃতপক্ষে ০১/১২/২০১২ তারিখের পর হইতে শেখ মোঃ রবিউল ইসলাম প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কোন বৈধ কর্মী নন। শেখ রবিউল ইসলাম চাকুরী থেকে অবসরের পর তার নিজ এলাকা নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাক্তন এনজিও কর্মী হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন লোকের সাথে পরিচয় থাকার কারণে
ব্যক্তিগতভাবে সুদের ব্যবসা ও আদম ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ইতিমধ্যে জনৈক পারভেজ হাসান পিতা- জামাল মোল্লা বর্তমান সাং- ভওয়াখালী (বিশ্বাসপাড়া), নড়াইল সদর কে ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে পারভেজ হাসানের নিকট হইতে বিভিন্ন সময়ে নগদ ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা গ্রহণ করেন এবং রবিউল ইসলাম উক্ত টাকার বিপরীতে তাহার নিজ নামীয় একটি ব্যাংক চেক প্রদান করেন। পারভেজ হাসানকে যথাসময়ে ইউরোপে পাঠাতে না পারার কারণে পারভেজ হাসান রবিউল
ইসলাম কে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে ও ব্যাংকে নগদায়নের জন্য গেলে রবিউল ইসলাম তাহাকে কিছুদিন ধৈর্য্য ধরতে বলেন। উক্ত বিষয়টি নিয়ে নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তি একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য চেষ্টা করেন। তথাপি মোঃ রবিউল ইসলাম মোঃ পারভেজ আলমকে কোন টাকা প্রদান না করায় পারভেজ আলম ক্ষিপ্ত হইয়া গত ইং ৩০/০৩/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমাণ ৫.৩০ ঘটিকার সময় পারভেজ আলম তাহার সঙ্গী
রমজান শেখ কে নিয়ে মাইজপাড়া সড়কের ঘোড়ারমোড় এলাকায় রবিউল ইসলামের মটর সাইকেল গতিরোধ করিয়া তাহাকে মারপিট করে। উক্ত পারভেজ হাসান ও রমজান শেখের সহিত প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কোন কর্মকর্তা বা কর্মীর আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের সুনাম ক্ষুন্ন ও
হয়রানি করার জন্য লোভের বশবতী হইয়া প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের ২ জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পরিচালক, আব্দুস সোবহান ও শাহাতাব হোসেন কে রবিউল ইসলাম কে মারপিট করার ঘটনায় পারভেজ হাসান ও রমজান শেখের সহিত আসামী করা হইয়াছে। প্রকৃতপক্ষে আব্দুস সোবহানের এবং শাহাতাব হোসেন এর কর্মস্থল ১/আই-গ, সেকশন-২, মিরপুর-ঢাকা-১২১৬ হইতেছে। তাহারা ঘটনার দিন তাহাদের কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন।