সৌদিকে খরচ বহন করতে হবে যদি মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় থাকে : ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন সৌদি আরব যদি চায় মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় আরো থাকুক, তাহলে তাদেরকে এর খরচ বহন করতে হবে।
‘আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি (আইএসকে পরাজিত করেছি) এবং আমরা তাড়াতাড়িই সিরিয়া ত্যাগ করতে চাই’, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
‘সৌদি আরব আমাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বেশ আগ্রহশীল। এবং আমি বলেছি, আপনারা যদি আমাদেরকে সেখানে থাকতে বলেন, তাহলে এটাই হতে পারে যে, আপনারা এর খরচ বহন করছেন’, বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প সোমবার সাউদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সাথে এক টেলিফোন আলোচনায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি পরিকল্পনা এবং আমেরিকা-সৌদি কৌশলগত অংশীদারিত্বসেহ আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরো পড়ুন: প্রশ্নপত্র ফাঁসেরকোনো সুযোগ নেই ‘-শিক্ষামন্ত্রী
কিন্তু মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশ করা বিবৃতিতে সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের বিষয়ে সৌদির অর্থায়নের কোনো প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়নি।
গত বছর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব রেক্স টিলারসন সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার কথা বললেও ট্রাম্পের এ বক্তব্যে এলো ভিন্ন সুর। গত সপ্তাহে ওহিওতেও এক ভাষণে ট্রাম্প এ ধরনের আরেকটি বক্তব্য দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি চাই সরে যেতে। আমি চাই আমাদের সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে’।
‘আমরা দেশটির জন্য অনেক কিছু করেছি। এগুলো অনেক কারণেই। কিন্তু এটা আমাদের দেশের জন্য অনেক ব্যয়বহুল’, বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে চলমান মার্কিন হস্তক্ষেপ এবং তার ক্রমবর্ধমান খরচের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন।
‘এটা নিয়ে ভাবুন তো, ১৭ বছরে আমাদের ৭ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যু ছাড়া আমরা কিছুই পাইনি। এটা একটা ভয়ঙ্কর বিষয়। তাই এটাই সময়, এটাই সময়’ (ফিরে যাওয়ার), হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আইএসের বিরুদ্ধে খুবই সফল। যে কারো বিরুদ্ধে আমাদের সেনারা সফল হবে। কিন্তু কখনো কখনো ফিরে যেতে হয়। এবং আমরা এ ব্যাপারটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সময়ে ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা।