খন্দকার সাইফুল, নড়াইলঃ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন তিনি। এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়। তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নূর মোহাম্মদ। ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ‘নূর মোহাম্মদ নগর’ করা হয়। সেই থেকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে ‘নূর মোহাম্মদ নগর’। এই বীরশ্রেষ্ঠের স্মরণে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে-‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’, ‘স্মৃতিস্তম্ভ’, ‘স্টেডিয়াম’, ‘স্কুল, কলেজ’ এবং সন্তানদের জন্য বাড়ি। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮নম্বর সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। সেই থেকে শুরু হয়েছে নূর মোহাম্মদ নগরের কার্যক্রম। এতে খুশি এলাকাবাসী।এদিকে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো বিস্তারে ভূমিকা রাখছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের নামে প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজটি। ২০১০ সালে স্কুলটি নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভূক্ত হলেও কলেজটি এখনো এমপিওভূক্ত হয়নি। তবে স্কুল ও কলেজে নতুন ভবন নির্মাণসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দাবি, কলেজটি দ্রুত এমপিওভূক্ত করা হোক। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নূর মোহাম্মদ নগরে আজ সকালে কোরআনখানি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ কর্তৃক সশস্ত্র সালাম এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের স্মৃতিসংরক্ষণসহ কলেজটি এমপিওভূক্তকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।