সোহরাব হোসেন মুন্সী, বটিয়াঘাটা খুলনা প্রতিনিধিঃ বটিয়াঘাটায় আম্পানে ভেঙে পড়া সরকারী আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর গুলো বছর পার হতে গেলেও মেরামত করা হয়নি আজও । বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের মাথাবাঙ্গা মৌজায় ২০০৭ সালে খাস জমিতে বসবাসরত প্রায় ১৩৮টি ভূমিহীন পরিবারকে সরিয়ে গডে তোলা হয় শেখ রাসেল ইকো পার্ক। সরিয়ে নেয়া ১৩৮ টি পরিবার এবং অন্যন্য আরো ৬২ টি পরিবার সহ মোট ২০০ পরিবার কে পার্সবর্তী সরকারী খাস জমিতে আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ২ শতক জমির উপর দৈর্ঘ – ১০ ফুট, প্রস্হ- ১০ ফুট, করে ২ টি রুম ও ৪ /২০ ফুট বিশিষ্ট বারান্দা সহ একটি ঘর এবং একটি পায়খানা দেয়।
ভুক্তভোগীরা জানান,”আমরা গত ২০০৭ সালে ৫০ শতক, আবার কেউ ৩০ শতক ও ১০ শতক খাস জমিতে ডিসিআর নিয়ে বসত বাড়ি নির্মাণ করে ১০/১২ বছর ধরে বসবাস করে আসছি।
২০১৭ সালে ততকালীন জেলা প্রসাশকের অধিনস্তসরকারী কর্মকর্তারা শেখ রাসেল ইকো পার্ক নামে একটি সাইনবোর্ড দিয়ে যান।তাদের কাছে প্রশ্ন করলে তারা জানান,এখানে পার্ক হবে আপনাদেরকে অন্য জায়গায় ঘর করে দেয়া হব। তাদের প্রতিস্রুতি অনুসারে পার্কের কাজ যে গতিতে সুরু করে আমাদের জন্য আশ্রয়নের কাজ করে তার চেয়ে ধির গতিতে।ফলে শেষের দিকে আমাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে নিম্ন মানের ঘর তৈরী করে আমাদেরকে দেয়া হয়।
যার দলিল আমরা এখনো পাইনি।” ৩ টি ধাপে এ ঘর গুলো দেয়া হয়। প্রথম ধাপে ৬০ টি, দিতীয় ধাপে ৭০ টি ও তৃতীয় ধাপে ৭০ টি করে মোট ২০০ ঘর দেয়া হয়। যার মধ্যে দিতীয় ও শেষ ধাপের ঘরের মধ্য থেকে ৩৩ ঘর আম্পান ঝরে ও জোয়ারের পানি ডুকে ধুমড়ে মুচড়ে যায়।ভেঙে যাওয়া ঘরের ক্রমিক নং ও নাম যথাক্রমে ১৪, ১৯,২৩,৩৩,৩৪,৪২,৫৮,,৫৯,৬০,৬১,৬২ মোট ১১ টি ঘর সম্পুর্ন এবং ১৮,২০,২১,২২,২৪,২৫,২৭,২৮,৩২,৩৫,৩৬,৪৪৪৮,৪৯,৫০,৫৪,৫৫,৬৩,৬৫,৬৬,৬৭,৭০, মোট ২২টি ঘর আংসিক ভেঙে যায়।
মনিরা, ফতেমা,বিউটি,ও হেনা সহ অন্যন্য ভুক্তভুগিরা জানান,”অনুপযোগি যায়গা ও নিম্ন মানের মালামাল,কুষ্টিয়ার বালুর পরিবর্তে ধুলাবালু, ১৫ থেকে ২০ বস্তা বালুর সাথে ১ বস্তা সিমেন্ট দেয়ার ফলে এ ঘর গুলো নির্মানের পর বছর পার হতে না হতেই ভেঙে যায়।এ ঘর নির্মানের সময় বারবার বাধা দিলেও শোনেনি ঠিকাদারের কর্মচারীরা।এ বিষয় কর্তৃপক্ষকে যানালে তারাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
আমরা এখন হতাশার মধ্যে দিন ও নিদ্রাহীন ভাবে রাত কাটচ্ছি , কখন মাথার পরে ভেঙে পরে এই ঘর।আবার বৃষ্টি হলেই পানিতে ভরে যায়, যার ফলে ঘর ধ্বসে যাওয়ার ভয় থাকে আবার চলাচলেরও অনুপোযগী হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট।আমরা বারবার কর্তৃপক্ষকে যানালেও আমরা কোন ফল পাইনি। ” তারা আরো জানান,আমাদের এখানে প্রকাশ না করা শর্তে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব রত ,সারবেয়ার সাকিরুন,পার্ক পাহারাদার হাসমত, এবং এডিসি রেভিনিউ অফিসের সি ও সিমুল দের মাধ্যমে অনেকেরই গুনতে হয়েছে ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।এর মধ্যে বহিরা গতরাই বেশি টাকা দিয়েছে।
এ বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের অফিস সহকারী জানান, অনুপোযগী জায়গায় তাড়হুড়ো করে ঘর গুলো তৈরি করার ফলেই এ অবস্হা হয়েছে।বাজেট আসলেই ঘর গুলো মেরামত করা হবে। বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরর কার্যালয়ের সারবেয়ার মোঃসাকিরুন জানান, আমার বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয় তা ভুল,এ কাজে দায়িত্বে থাকা হাসমতের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়ায় তাকে দারোয়ান পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।তবে হাসমত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।তিনি জানান, আমার সালা খুলনা আর ডি সি অফিসের সাকু তার বোনকে ছেড়ে দেয়ার কারনে আমাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। ভুক্তভোগীদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর যেন দুর্নীতি মুক্ত রেখে নির্মান করে এবং আমাদের এই ঘর গুলো যেন কর্তৃপক্ষ দ্রত মেরামত করেন।
KHULNA TV