সাব্বির হোসেন : নগরীর দৌলতপুরস্থ খুলনা-যশোর মহাসড়কে সম্প্রতিসময়ে ট্রাফিক নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে যানবহনগুলোর ইচ্ছা-স্বাধীনভাবে চলাচলের মহাৎসব চলছে। যানবহনগুলোর অবাধে ইচ্ছা-স্বাধীন ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে উল্টা-পাল্টা পার্কিং, ওভারটেকিং, টার্নিং ও অনুমোদিত ক্ষুদ্র যানবহন চলাচলের কারণে দিনের পর দিন সড়কে যানজট বেড়েই চলেছে, আর যার মাশুল গুনতে হচ্ছে কর্মস্থলে ছুটে চলা কর্মব্যস্ত মানুষসহ সাধারণ পথচারী আর স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের। যানজটের লম্বা লাইন এতই দীর্ঘ যে তিন মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে পনের মিনিটের ও বেশি।
কয়েক বছর পূর্বের দৌলতপুরের সেই খোলামেলা দূষণ আর যানজটমুক্ত শহর যেন বিলীন হতে চলেছে এই যানজটের কারণে। এক সময়ের যানজট মুক্ত খোলামেলা রাস্তাঘাট সম্প্রতি দূরন্তগতিতে ছুটেচলা অসংখ্যক মাহেন্দ্রা, সিএনজি, ইজিবাইক, বাস, ট্রাক, মাঝারি ধরনের যানবহনের আবাদে বিচরণ ট্রাফিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যানজট সৃষ্টিসহ দৌলতপুরবাসীর স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ লাইনে পড়া ছোট, বড়, মাঝারী যানবহন গুলো ভারী করে তুলছে মহাসড়কটিকে। বিশেষ করে মহাসড়কে চলাচলরত ক্ষুদ্র বা মাঝারী যানবহন তথা মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ইজ্ঞিনের রিক্সা-ভ্যান, দূরপাল্লার বাসগুলোর যাত্রী ওঠা নামানোর প্রতিযোগীতা, ইচ্ছা-স্বাধীন পার্কিংয়ের দরুন এই দীর্ঘ যানজট।
দৌলতপুরস্থ খুলনা-যশোর মহাসড়কে প্রতিদিনই সকাল ৯টার পর হতে দুপুর ১২টা নাগাদ পিরামিড ক্লিনিক সম্মুখ হতে মুহসীন মোড় পর্যন্ত খুলনা-যশোর মহাসড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, সিএনজিসহ ইজ্ঞিনচালিত যানবহনে উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই চিত্র আরো ভয়ংকর আকার ধারণ করে সন্ধ্যার পর। সড়কে হঠাৎ করে তাকালে মনে হচ্ছে রাজধানীর কোন ব্যস্ততম সড়কের জ্যামে পড়ে আছি। দীর্ঘ লাইনের যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে মহাসড়কে চলাচলরত পথচারীসহ সাধারণ মানুষ, চাকুরীজীবি ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা।
দীর্ঘ এই যানজটের কারণে গন্তব্যস্থলে পৌচ্ছাতে সময় লাগছে দীর্ঘক্ষণ। মহাসড়কে চলাচলরত ভারী, মাঝারী ও ক্ষুদ্র যানবহন তথা মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ইজ্ঞিনের রিক্সা-ভ্যান, দূরপাল্লার বাসগুলোর যাত্রী ওঠা নামার প্রতিযোগীতা, অনুমোদিত পার্কিং সৃষ্ট এই দীর্ঘ যানজটের জন্য অনেকটাই দায়ী।
পথচারী ময়না রহমান জানান বলেন, দৌলতপুর ট্রাফিক মোড় হতে মুহসীন মোড় পর্যন্ত সকাল হতে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন লেগেই আছে। এতো জ্যাম যে রাস্তা হেটে পার হতে দীর্ঘ সময় লাগছে। যদিও এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগ বলছে, শহরের যানজট নিরসরেন ট্রাফিক বিভাগ নিয়মিত নিরালস কাজ করে চলেছেন। শহরের মধ্যে ছোট যানবহনের অনিয়মতান্ত্রিক যত্রতত্র পার্কিংসহ ট্রাফিক আইনের কোন তোয়াক্কা না করে অবাদে ইচ্ছা-স্বাধীন চলাচলের ব্যাপারে সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গকে সু-শৃংঙ্খল যানজট মুক্ত সড়কের আশা অনেকটাই ভাবিয়ে তুলছে। এলাকাবাসীর ট্রাফিক বিভাগের নিকট প্রত্যাশা দৌলতপুরে উপশহরটিকে করা হোক যানজট, যেখানে থাকবেনা কালো ধোয়া শুরু থাকবে নির্মল বাতাসের সুঘ্রান।