খুলনা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র khulna tv

খুলনা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৬০ লাখ টাকার মালামাল ১০ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ

খুলনা বিভাগ

খুলনা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ষ্টোরে থাকা সরকারি মেশিনপত্র ও অন্যান্য লৌহজাত মালামাল টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা। তারা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো মহাপরিচালক বরাবর গত ৩০ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ করেন।

ঠিকাদাররা বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার খুলনা কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ষ্টোরে রক্ষিত সরকারী মেশিনপত্র ও অন্যান্য লৌহজাত মালামাল এর টেন্ডার হয় । জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো উপ পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরকারি সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের ৬০ লক্ষাধীক টাকার মালামাল ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকায় পাইয়ে দিয়েছেন। ফলে সরকারি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

মেসার্স সুভাষ এন্টার প্রাইজ, কাশেম এন্ড ব্রাদাস, সানু এন্ড কোঃ , লাবনি এন্টার প্রাইজ, ছোহা এন্টার প্রাইজ, মনির এন্টার প্রাইজ, মেসার্স ইকবাল ব্রাদাস, মেসার্স ফাহিম ট্রেডাস, বাদশা এন্টার প্রাইজ, ইয়াসিন এন্ড ব্রাদাস, মেসার্স আখি ট্রেডার্স, রাজু এন্টার প্রাইজ, সাগর দত্ত এন্টার প্রাইজ,মোল্লা এন্টার প্রাইজ, লিটন এন্ড কোঃ , সালাম এন্টার প্রাইজ, এফ এন্ড ট্রেডার্স, শফি এন্টার প্রাইজ, সেন্টু এন্টার প্রাইজসহ একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, এ ধরণের টেন্ডারের ক্ষেত্রে জাতীয় পত্রিকা ও স্থানিয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে টেন্ডার আহবান করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তিনি সেটি না করে নোটির্শ বোর্ড এর মাধ্যমে দরপত্র আহবান করেছেন।

তারা অভিযোগ করেন, কোটেশনের বিধিনুযায়ি ১ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোটেশন (নোটির্শ বোর্ড) এর মাধম্যে টেন্ডার দিতে পারে, কিন্তু ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা কোটেশন নোটির্শ বোর্ড এর মাধ্যমে দেওয়ার কোন নিয়ম নেই।

অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, এখানে সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে ৮ টি দরপত্র বিনামুল্যে ড্রপিং বিতরন করা হয়। এর মধ্যে থেকে ১টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাকে ৬০ লক্ষ টাকার মালামাল ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় পাইয়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, এ টেন্ডার পত্রিকাতে প্রকাশ করা লাগেনা আমি সকল নিয়ম মেনে টেন্ডার কাজ সম্পুর্ন করেছি ।

খুলনা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), এ কে এম মনিরুল ইসলাম বলেন এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা ,আমাকে ট্রেন্ডার কমিটিতে রাখা হয়নি আমি গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোটিশ পেয়েছি ।

স্থানিয় একাধিক ঠিকাদার বলেন ৩০ তারিখ টেন্ডার হলেও ২৯ তাং রাতের আধারে গোপনে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে নোটিশ লাগানো হয় । এ ঘটনায় স্থানিয় ঠিকাদারদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে , ঠিকাদাররা তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন ও পুনরায় দরপত্র আহবানের দাবি জানান।

খুলনা টিভি/khulnatv

Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.