নড়াইলে যুবলীগের সম্মেলন দাবি তৃণমূলের khulna tv

নড়াইলে যুবলীগের সম্মেলন দাবি তৃণমূলের

বাংলাদেশ

মোঃ খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, নড়াইল প্রতিনিধিঃ  নড়াইলের এক সময়কার শক্তিশালী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের এখন বেহাল দশা। দীর্ঘ ২৬ বছর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়না। ফলে ছাত্রলীগ থেকে বেরিয়ে আসা অধিকাংশ ছাত্র নেতা এখন হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। বছরের পর বছর  আহবায়ক কমিটি দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সংগঠনটি।

দীর্ঘ বছর পর বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নড়াইল জেলা পরিষদের হলরুমে বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সুব্রত পালের  উপস্থিতিতে জেলা যুবলীগের বর্ধিতসভায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের একটিই দাবি ছিল তাহলো জেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের  সম্মেলন সম্পন্ন করা। এদিকে বর্ধিত সভা শুরু হবার আগে হলরুমের মধ্যে  বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হবার সুযোগ পাওয়া না পাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ সময় সদরের বুড়িখালী গ্রামের যুবলীগ কর্মী আজমীরের মাথা ফেটে যায় এবং যুবলীগের ৩-৪জন নেতা-কর্মীকে লাঞ্চিত করা হয়।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ১৮ অক্টোবর জেলা যুব লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নিজাম উদ্দিন খান নিলু সভাপতি এবং বাবুল সাহা সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত নির্বাচিত হন।

এর ১০ বছর পর ২০০৫ সালের ৩ মার্চ বাবুল সাহাকে আহবায়ক করে গঠিত হয় ৬৫ সদস্য আহবায়ক কমিটি। এর ১৩ বছর পর সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ মার্চ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানকে আহবায়ক ও মোঃ ফরহাদ হোসেন, গাউসুল আজম মাসুম এবং মাহফুজুর রহমান মাহফুজকে যুগ্ম আহবায়ক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

সেই কমিটি এখনও বহাল রয়েছে।জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সৌমেন বসু বলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর যুবলীগের সম্মেলন হয়না। ফলে যুবলীগ এখন নামসর্ব্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। সংগঠনকে গতিশীল করতে, নিস্ক্রিয় নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে সামনের দিনের আন্দোলন, সংগ্রাম এবং নির্বাচন মোকাবালা করতে যুব লীগের সম্মেলনের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন।  

জেলা যুবলীগের ১ নম্বর যুগ্ম- আহবায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেন সভার পূর্বে বিশৃংখলার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আগামি ৩ মাসের মধ্যে পৌরসভা ও থানার সম্মেলন সম্পন্ন করে জেলা ইউনিটের সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি বলেন,  আগে জেলা ইউনিটের সম্মেলন করে ওয়ার্ড, পৌর ও থানা ইউনিটের সম্মেলন হলে ভালো হতো। 

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলকে শক্তিশালী করতে বর্ধিত সভা করায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আশার আলোর সঞ্চার হয়েছে। খুব দ্রুতই যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.