খুলনা টিভি ডেস্ক: ফোয়াবের আয়োজনে খুলনার গল্লামারী মৎস্য খামারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত থাকার চিংড়ি খামারির করণীয় শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফপিবিপিসি ও ফোয়াবের অর্থায়নে শনিবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ফোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মৎস্য উন্নয়ন ও সমবায় ব্যক্তিত্ব মোল্লা সামছুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, আমরা শুধু গবেষণা করে আপনাদের সাহায্য করতে পারি। কিন্তু মাঠে আপনারাই পরিশ্রম করেন। মাছের সাথে সবজি ও ধান চাষের পদ্ধতি আপনারাই চালু করেছেন। খুলনা বিশ^বিদ্যালয় সবসময় আপনাদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যে কোন প্রয়োজনে আপনাদের জন্য আমাদের দুয়ার সর্বদা খোলা।
উপাচার্য আরও বলেন, পৃথিবীতে ১০ হাজার বছর আগে চাষাবাদ শুরু হয়। তারপর ৭ হাজার বছর আগে চীনে প্রথম মাছ চাষ শুরু হয়। মাছের খাবার হিসেবে তখন তারা সিল্ক বা গুটি পোকা দিত। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে-সাথে এখন সেখানে ভিটামিনসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার দেয়া হয়। ১৮০০ সালে ইউএসএ এবং ১৯০০ সালের ৭০ দশকে আমাদের দেশে মাছ চাষ শুরু হয়। তখন সৌখিনভাবে হত মাছ চাষ। বর্তমানে সাড়ে ৪ মিলিয়ন টন চাষের মাছ উৎপাদিত হচ্ছে দেশে।
পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে বিপর্যয়ও ঘটেছে। পানিতে স্যালাইনিটি তার মধ্যে অন্যতম। জলবায়ুর পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মেনে নিতে হবে। সময়ের সাথে-সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। একমাত্র আমাদেরই সৃষ্টিকর্তা এ পরিবর্তনের ক্ষমতা দিয়েছে। মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে পরিবেশ ও পারিপাশির্^ক অবস্থাকে পরিবর্তন করতে পারে। যা অন্য কোন প্রাণী বা জীব পারে না।