জুরাইস ইসলাম মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকে অপারেশনের দুইদশক ধরে ডাক্তারের রেখে দেয়া কাঁচি বহন করে চলা বাচেনা খাতুনের (৫৬) সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (৫জানুয়ারী) দুপুরে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর সিভিল সার্জন জাওয়াহেরুল ইসলাম। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গাংনীর সেই রাজা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে রোগীর পেটে কাঁচি রাখার বিষয়টি অনাকাংখীত ভুল হলেও সব রকম সহযোগীতা করা হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে এমন দাবী করে কিলিনিক মালিক ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজা বলেন ওই রোগীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে চিকিৎসার জন্য বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বাচেনা খাতুনকে কাঁচি অপারেশনের জন্য চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক বাচেনার অতিরিক্ত মাত্রায় ডায়াবেটিস থাকায় অপারেশন না করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ডায়াবেটিস কন্ট্রোল হলে অপারেশন করা হবে বলে জানা গেছে।
বাচেনা খাতুনের ছেলে ইয়ামিন হোসেন বলেন, রাজা ক্লিনিকের লোকজন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আমার মায়ের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়ে আমাদের পছন্দের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলেন ডাক্তার রাজা। সে মোতাবেক মঙ্গলবার আমার বাবা এবং বড় মামা আমার আম্মাকে চুয়াডাঙ্গায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার নয়ন এর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তবে আমার মায়ের শরীরে ডায়াবেটিকস আছে,যে কারনে অপারেশন করা হয়নি। সুস্থ্য হলেই অপারেশন করা হবে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী বাচেনা খাতুন দুই‘দশক আগে পিত্তথলির পাথর অপারেশন করান গাংনীর রাজা ক্লিনিকে। অপারেশনের দীর্ঘ দুই‘দশক বছর যাবত সুস্থ্য না হওয়ায় অবশেষে রাজশাহীর একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে এক্স-রে করে পেটের মধ্যে কাঁচি সন্ধান পাওয়া গেলে এলাকায় হৈচৈ পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিলে সিভিল সার্জন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।