জুরাইস ইসলাম মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ইটভাটা ব্যাবসায়ী রেজাউল হক (খোকন) হত্যা মামলার ১২ জন আসামীর মধ্যে ৬ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
রবিবার (৯ জানুয়ারী-২০২২) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিপুতি কুমার বিশ্বাস এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-গাংনীর থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাস (৪০), কুষ্টিয়ার দৌলাতপুর উপজেলা হোসেনাবাদ গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান (ওরফে রিপন) (৩৭), হিজলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৫),গাংনীর পল্লী বিদ্যুৎ পাড়ার আজগর আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৪০), বাশবাড়িয়া গ্রামের ফইমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল জাব্বার(৪২) ওহেল উদ্দীন ছেলে হোসেন আলী। হোসেন আলী পলাতক রয়েছে।
অপর ৬ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আদালতে প্রমানীত না হওয়ায় বেকুসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাস প্রাপ্তরা হলেন-আড়পাড়া গ্রামের আব্দুর মান্নানের ছেলে আক্তারুজ্জামান ওরফে বাবু,জালশুকা গ্রামের তাহার উদ্দীনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম,আড়পাড়ার গ্রামের লালচাঁদের ছেলে মজনু মিয়া,মালশাদাহ গ্রামের ইউসুব আলীর ছেলে আবুল কালাম,হাড়িয়াদাহ গ্রামের নুর ফকিরের ছেলে খাজা মিয়া ও শানঘাট গ্রামের ওয়াদুদ এর ছেলে শান্ত। ১৬জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহনের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত এই রায় দেন।
মামলার বিবরনে জানাগেছে, ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধায় গাংনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভিটাপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইটভাটা মালিক রেজাউল হক ওরফে খোকন কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে একটি মেহুগনি গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখেন ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব-৬ এর গাংনী ক্যাম্পের একটি টীম।
নিহত রেজাউল হকের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ২০ নভেম্বর ১২ জনকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার গাংনী থানার জিআর মামলা নং-৩৪। জিআর-মামলা নং ৫৯৭/১১,সেশন ৮৮/১২।ধারা ( ৩০২/৩৭৯/৪১১/৩৪) মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা র্যাব-৬ এর এসআই বকুল হোসেন তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর রেজাউল হত্যা মামলায় রায় পেল নিহতের পরিবার।
মামলা পরিচালনায় আসামী পক্ষের কৌসুলী ছিলেন কামরুল ইসলাম,একে এম শফিকুল আলম,ইব্রাহীম শাহিন,রমজান আলী,মিয়াজান আলী,রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী (অতিরিক্ত পিপি) ছিলেন কাজি শহিদুল ইসলাম।