মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের হাড়াভঙ্গাপশ্চিম পাড়ায় প্রবাসীর স্ত্রীসহ দুইজন কে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে রাতভর নির্যাতন করেছে স্থানীয়রা। (২৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। পরকীয়া জুটি হচ্ছেন, হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৮) ও সৌদি প্রবাসী আব্দুস সালামের স্ত্রী তোহিদা খাতুন(৩৬)। তহিদা খাতুন নওয়াপাড়া গ্রামের মোশারফের কন্যা।
স্থানীয়রা জানায়, তহিদা খাতুনের স্বামী আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবে আছে। এ সুযোগে ৫ সন্তানের জনক ব্যবসায়ী মিজান গৃহবধু তহিদার সাথে সম্পর্কে গড়ে তোলে। তারা আচার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে। সে মতে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১ টায় তারা দুজনকে একত্রে পেয়ে ঘরের মধ্যেই দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।
এবিষয়ে আজ রবিবার সকাল ১০ টার দিকে এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন স্থানীশালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে তহিদা খাতুন জানান, আমাকে মিথ্যা কলঙ্ক জালে ফাঁসাতেই স্থানীয়রা এমন কাজ করে।
তহিদা আরো জানায় তাদের শুধু বেঁধেই রাখা হয়নি। শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করা হয়েছে। গ্রাম্য শালিসে উপস্থিত ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের লোকজন তাদের ব্যপারে একমত না হতে পারায় বৈঠক স্থগিত করে মিজানের দুলাভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়। অপরদিকে তহিদা খাতুনকে তার পরিবারে জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুহাঃ আলম হোসেন জানান, আমি সেখানে গিয়েছিলাম তখন তাদের খোলা অবস্থায় পেয়েছি। তবে তাদের সারা রাত বেঁধে রাখা হয়েছিল এবিষয়ে শুনেছি এবং তাদের বেঁধে রাখা ছবি ফেসবুকে দেখেছি। এবিষয়ে নির্যাতিতদের আইনের সার্বিক সহযোগীতা দেয়া হবে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু উভয় পক্ষের কোন লোকজন আমাদের কাছে এপর্যন্ত অভিযোগ করেনি তাই পুলিশের কোন ভুমিকা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।