১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচন_khulnatv

১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচন

বাংলাদেশ

আগামী  ১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্টিত হবে !

দুটি সিটি কর্পোরেশনের ( খুলনা ও গাজীপুর ) নির্বাচন হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার পর এবং রোজার আগে এই ।

শনিবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এ দুটি সিটি করপোরেশনের ( খুলনা ও গাজীপুর ) ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১২ এপ্রিল; যাচাই-বাছাই ১৫-১৬ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ এপ্রিল।

৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন।

আরো পড়ুন: পবিত্র লাইলাতুল মিরাজ ১৪ এপ্রিল।

খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ ।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মণ্ডলকে এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো আইনি জটিলতা নেই বলে সরকারের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর প্রথম ধাপে গাজীপুর ও খুলনার তফসিল দেওয়া হল।

গাজীপুর সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আইন অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। ৮ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে এ সিটির।

খুলনা সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। ৩০ মার্চ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।

২০১৩ সালে পাঁচ সিটিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই জয়ী হন। ৫ বছর আগে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও এবার মেয়র পদে দলীয়ভাবে ভোট হবে গাজীপুর ও খুলনায়।

চলতি বছরের নভেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এজন্যে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ সিটির ভোট শেষ করার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন সিইসি নূরুল হুদা।

২০১৩ সালের ৬ জুলাই গাজীপুর সিটিতে এবং খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটিতে ১৫ জুন ভোট হয়। তবে ভোটের পরে সিটি করপোরেশনের প্রথম সভার দিন ধরে ৫ বছরের মেয়াদ শুরু হয়।

সে হিসেবে গাজীপুরের ৪ সেপ্টেম্বর এবং খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

আর সিলেটের ৮ অক্টোবর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর মেয়াদ ফুরোচ্ছে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিলেট সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর। এ সিটিতে ১২ এপ্রিল  নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে।

রাজশাহী সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর। ৯ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।

বরিশাল সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। ২৭ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনি জটিলতায় তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কমিশন কোনো বিতর্কে বা সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের মতামত নেওয়া হল।

তারা জানান, ২ এপ্রিল থেকে ৪ মে এইচএসসি পরীক্ষার সূচি রয়েছে। ১৭ মে থেকে শুরু হবে রোজা। এরপর সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তফসিল ঘোষণার সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.