জুরাইস ইসলাম,মেহেরপুর: মেহেরপরে গাংনী উপজেলার চাঁন্দামারী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার কঙ্কাল উত্তোলন করে। স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে স্বামী আসাদুজ্জামানকে (৩৫) হত্যা করা হয়েছে মর্মে আদালতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মৃত্যুর দুই বছর পরে কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ।
সোমবার দুপুরে করব স্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে ফরেনসিকে পাঠায় পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদাত হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল মরদেহ উত্তোলন করে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকুরির সুবাদে চুয়াডাঙ্গায় শ^শুরবাড়িতে বসবাস করতেন। সেময় স্ত্রী লোপার সাথে নরসিংদী জেলার জনৈক হুমায়ুনের সাথে পরোকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। এনিয়ে পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। ২০২০ সালের ২৭ মার্চ রাতে সে স্টোক করে মারা যায় বলে খবর পায় পরিবার।
পরিবার মরদেহ দাফন করলেও মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন আসাদুজ্জামানের ভাই লিটন হোসেন। মামলায় আসাদুজ্জামানের স্ত্রী মোনালিসা লোপা খাতুন ও তার সন্দেহভাজন পরকিয়া প্রেমিক হুমায়ন কবিরকে আসামি করা হয়। পুলিশ তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিন আলী (পিপিএম) জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। যেহেতু দুই বছর আগে তার মৃত্যু তাই মরদেহের অনেক অংশ পাওয়া যাবে না। হাড়গোড় যা কিছু পাওয়া গেছে তা পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।