প্রতিনিধি মোঃ রানা মোল্লা: প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকতে তাকে ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের কোন হিন্দু মহিলার সাথে বিবাহ ও একসাথে থাকা বৈধ নয় বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন অসম এর গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রী কল্যাণ রাই সুরেনা। আজ জনাব সাহাবুদ্দিন আহমেদ নামে এক মৃত ব্যক্তির দ্বিতীয় পক্ষের হিন্দু স্ত্রীর খোরপোষ ও বিষয়সম্পত্তি এবং টাকা পয়সার দাবি নিয়ে গৌহাটি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শ্রীমতী দীপামনি কলিতার নামে এক মহিলা।
সেই মামলার শুনানি শেষে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি কল্যাণ রাই সুরেনা একটি, ১৯৫৪,সালের, বিহারের পাটনা হাইকোর্টের রায় উল্লেখ করেন বলেন যে, ৪,নাম্বার, ধারায় বলা হয়েছে যে প্রথম পক্ষের মুসলিম স্ত্রী আছে, তা জানা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পক্ষের হিন্দু মহিলার সাথে বিবাহ করা সম্পূর্ণ বেআইনি , এবং এরা একসাথে থাকা কোন মতে আদালত মেনে নিতে পারে না। :
কারণ মৃত জনাব সাহাবুদ্দিন আহমেদ নামে যে ব্যক্তি স্বামী হিসেবে ধরা হয়েছে তিনি, অসম সরকারের কামরূপ জেলার ডেপুটি কমিশনারের কাছে কাজ করতেন। তিনি প্রথম পক্ষের স্ত্রী কে ডিভোর্স না দিয়ে দিপামনি কলিতার সাথে বিবাহ করেন। এবং দিপামনি কলিতার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, ১২,বৎসরের।
তার সত্ত্বেও প্রথম পক্ষের স্ত্রী কে ডিভোর্স না করে দিপামনি কলিতার সাথে বিবাহ করেন। তাই তিনি নিদিষ্ট কোন প্রমাণ না দেখাতে পারেননি। তাই তিনি কোন পেনশন ও মৃত ব্যক্তির টাকা পয়সা পাবেন না পরিস্কার করে সাফ জানিয়ে দেন গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রী কল্যাণ রাই সুরেনা। এই মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, ২০১৭, সালে। তার পর পথ দুর্ঘটনায় জনাব সাহাবুদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যু হয়।