নগরীর একটি পূজামন্ডপের প্রবেশপথ থেকে ১৮ টি ককটেল সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচ টার দিকে খুলনা রূপসা মহাশ্মাশান ও শ্মশান কালি মন্দিরের প্রবেশ পথ থেকে উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, রূপসা মহাশ্মশান ও শ্মশান কালি মন্দিরের পুরোহিত সুরেশ চক্রবর্তী টুটপাড়ায় একটি পূজায় অংশ নিয়ে মন্দিরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাদা পোষাকে দু’জন ব্যক্তি নিজেদের র্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, তাদের কাছে গোয়েন্দা সূত্রে খবর রয়েছে মন্দিরের প্রবেশ পথে বোমা রাখা হয়েছে।
এরপর তারা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে বাজারের একটি ব্যাগে ১৬ টি ও বাইরে ২ টি বোমা সদৃশ্য কৌটা দেখতে পান। এগুলো কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান। তারা মন্দিরের দর্শনাথীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেন। পরে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সেগুলো নিস্ক্রিয় করার জন্য নিয়ে যায়। র্যাব ৬ এর পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
এর পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
গোয়েন্দা অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। র্যাব-৬ এর এস আই আঃ খালেক বলেন, ‘রূপসা মহা শ্মশানের প্রধান গেটে বোমা বা বোমা সাদৃশ্য বস্তুর তথ্য পেয়ে র্যাব সদস্যরা স্থানটি ঘিরে রাখে। পরে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে ১৮টি বোমা বা বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’ রূপসা মহাশ্মশান ও শ্মশান কালি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার নাথ জানান, আজ নবমীর দিন হাজার হাজার পূজারী মন্দিরে প্রবেশ করার কথা কিন্তু এ সংবাদ জেনে অনেকেই আজ এখানে আসবে না।
তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন। মন্দিরের প্রবেশ পথে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। সকলের দেহ তল্লাশি করে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।