চোখের নীরব ঘাতক গ্লুকোমা !

স্বাস্থ ও চিকিৎসা

গ্লুকোমা এক ধরনের চোখের উচ্চচাপজনিত রোগ। এ রোগ চোখের নীরব ঘাতক হিসেবেও পরিচিত। চোখের উচ্চ প্রেসারকে অকুলার হাইপার টেনশন বলে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক চোখের চাপ ১১-২১ মিঃমিঃ মার্কারির চেয়ে বেশি হলেই অকুলার-হাইপার টেনশন বলে।

যদিও অপটিক স্নায়ু বা দৃষ্টি পরিধির (ভিস্যুয়াল ফিল্ড) কোন পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে যখনই অপটিক স্নায়ু বা ভিস্যুয়াল ফিল্ডের ক্ষতি হয় এবং চোখের উচ্চ প্রেসার থাকে তাকে গ্লুকোমা বলে।

গ্লুকোমা কেন হয়? : চোখের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য সিলিয়ারি এপিথিয়াম থেকে যদি পানি জাতীয় প্রত্যক্ষ নিঃসরণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। পরোক্ষ নিঃসরণ ২০ শতাংশ স্বাভাবিক। যদি কোনো কারণে (ওষুধ দ্বারা) এর চেয়ে কম হয় তাহলে গ্লুকোমা হয়। যদি ট্রাবিকুলাম, কর্নিও স্কোরাল মেসওয়ার্ক, স্মেস ক্যানাল প্রভৃতি কোনো পথে প্রতিবন্ধকতা হয় তাহলে গ্লুকোমা হয়।

গ্লুকোমা আছে কি-না কিভাবে জানা যায়? : চোখের প্রেসার যন্ত্র টনোমিটার দিয়ে। ১১-২১ মিঃমিঃ- এর বেশি হলে গ্লুকোমা অফথালমোসকোপ দিয়ে অপটিক স্নায়ুর পরিবর্তন হয়েছে কি-না দেখা।

দৃষ্টি পরিধি বা ভিস্যুয়াল ফিল্ড দেখার যন্ত্র পেরিমিটার/এনালাইসার (হামফ্রে বা অক্টোপাস দিয়ে)। আলোর পার্শ্বে রংধনুর মতো দেখা, চোখে ব্যথা হওয়া, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা, চোখ লাল হওয়া/ঝাপসা দৃষ্টি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ঝাপসা দেখা, বমি হওয়া, দৃষ্টি পরিধি কমে যাওয়া, মণি বড় হওয়া এবং শেষের দিকে চোখ সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি গ্লুকোমার লক্ষণ। সবচেয়ে মারাত্মক হল কখনও কোনো লক্ষণ ছাড়াই চোখের প্রেসার মানুষ ঘুণ ধরার মতো অন্ধত্ববরণ করে।

চোখের উচ্চ চাপ বা গ্লুকোমার প্রকারভেদ : ১. জন্মগত: গ্লুকোমা বা বুথথালমোস, ২. একোয়ার্ড বা জন্ম পরবর্তী সংশ্লিষ্টতা।

চিকিৎসা : চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো-পাইলো ড্রপ, টিমো ড্রপ, ল্যাটোনো প্রষ্ট, প্রষ্টাগামিন, আলফাগান, বেটাগান। খাওয়ার বড়ি : এসিমক্স, ইলেকট্রো-কে। ট্রাবিকুলোপ্লাস্টি : লেজার। অস্ত্রপাচার : আইরিসে ছিদ্র করা, ট্রাবিকুলেক্টমি/ট্রাবিকুলেক্টটিম, সিজ বা ফিল্টারিং অপারেশন।

Tagged

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.