“প্রয়োজনে মারা যাবো! যে ঔষুধ সাধারণ মানুষ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না, সেই ঔষুধ আমিও নিবো না!”
দাম বেশি তাই ঔষুধ গ্রহণে আপত্তি করোনা আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর!
দাম বেশি হওয়ায় ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে ঔষুধ খেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যমুনা নিউজকে তিনি বলেন, আমার শরীর কিছুটা ভালোর দিকে। শ্বাসকষ্ট ছিলো, এখন কিছুটা কমেছে। আমি অপ্রয়োজনে ঔষুধ খাই না।
উচ্চমূল্যের প্রতিবাদস্বরূপ একটি ঔষুধ গ্রহণে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে যমুনা নিউজকে বলেন, আমার জন্যে একটি অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন এনেছে। ১০ ডোজ নিতে হবে। প্রতি ডোজের দাম ৮ হাজার টাকা। মোট ৮০ হাজার টাকা খরচা পড়বে। এই ঔষুধ কি সাধারণ মানুষ নিতে পারবে? পারবে না। যে ঔষুধ সাধারণ মানুষ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না, সেই ঔষুধ আমিও নিবো না।
সমাজে একজন বিশিষ্টজন তিনি। চিকিৎসকরা যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে ঔষুধ গ্রহণের বিষয়ে এমন অনড় অবস্থানে থাকা উচিত কিনা, অনেকেই তো জটিল রোগের ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে থাকেন- এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যে ঔষুধ সাধারণ মানুষ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না, সেটি আমি নিবো না। প্রয়োজনে মারা যাবো! সরকারকে ঔষুধের দাম কমাতে হবে। আমাকে বিনামূল্যে দিতে চাইছে। আমার কথা হলো আমাকে বিনামূল্যে দিতে হবে না, দাম কমান যেনো অসহায় মানুষের নাগালে থাকে।
সাধারণ মানুষের কাছে দো’আ চেয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বলেছেন, ঔষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ চলমান থাকবে! ✊✊
মহান আল্লাহ ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার কে আমাদের মাঝে ততোদিন বাঁচিয়ে রাখুন যতদিন এই দেশ থেকে ডাকাতি, গলাকাটা ও দালালদের সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ না হয়। ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিয়োগ হলে তা হবে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে অপূরনীয় ক্ষতি।