এম এন আলী শিপলু: দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আবারও প্রকৃতিতে শুরু হলো প্রাণের শরৎ। শুরু অবশ্য হয়েছে ক’দিন আগেই। প্রাণের শরৎ নিয়ে লিখবো-লিখবো করে লেখা হচ্ছিল না কর্মব্যস্ততার কারণে। কিছুটা অবসরেই শুরু হলো বাঙালি মনে প্রাণের শরৎ-এর বর্ণনা। শরতের অপেক্ষায় থেকেছি অনেক দিন। গত সোমবার (১৬ আগস্ট) ছিল শরতের প্রথম দিন, অর্থাৎ ১ ভাদ্র। খুব সকাল থেকেই ঝরেছে বেশ বৃষ্টি। মেঘের ভেলায় চেপে রিমঝিম বৃষ্টির ছন্দময়তার সাথে শরৎ এসে প্রকৃতির বুকে অপরূপে সেজেছে।
শরৎ ঋতুর খোলা আকাশে সাদা ভাসমান মেঘের ভেলার সাথে যোগ হয় মনের কল্পনাগুলো। বিচ্ছুরিত মনের ভাবনাগুলো যেন শরৎ প্রকৃতির বাতাসে দোলায় ছড়িয়ে পড়া হাস্নাহেনা ফুলের সুবাস। প্রকৃতির সজীব আঁচড়ে ভাবনাগুলো তাই কবিতা হয়ে ঝরে পড়তে চায় নিমিষে।
শরতের জোৎস্নামাখা রাতের নির্জনতায় ঝিঁঝিঁ পোকার গানে মুখরিত চারিদিক আহবান করে জীবনের মানে খোঁজার। স্থবিরতা ভেঙ্গে জীবন হয়ে ওঠে অর্থবহ। কাশফুলের উচ্ছস্বিত আগমনে মনের মরুভূমিতে সজীবতা ফিরে আসে। অঙ্কুরিত হৃদয় হয়ে ওঠে প্রাকৃতিক ক্যানভাস।
মনে পড়ে শহরের বুকে রূপসা পাড়ে রাসেল ইকো পার্কের কাশফুল অরন্যে শরৎ প্রেমীদের মিলন মেলা। শরতের মিলমিলে বাতাসে রূপসার জলে দোলা লাগে। সোনালী রোদে নদীর জলের ওপর নিজের ছায়া দেখে নিজেকেই খুঁজতে অন্বেষিত হতে হয় বারবার। পাখির কলবরে মুখর শরতের সকাল নতুন বার্তা ছড়ায় প্রকৃতিতে। শরৎ রাঙা প্রকৃতির মাঝে সঁপে দিতে ছুটে যায় অতি আকাঙ্খিত মন। প্রাণের শরৎ(ভাদ্র- আশ্বিন) দেরিতে হলেও তোমায় স্বাগতম।