জুরাইস ইসলাম মেহেরপুর: ট্রেড লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে, মেহেরপুরে ডাইমন্ড অটো রাইস মিলের বর্জ্যতে হুমকির মুখে পড়েছে শতাধিক বিঘা জমির ফসল। ক্ষতির মুখে পড়েছে মাছ চাষের পুকুর। শব্দ ও পরিবেশ দূষনের কারনে ব্যাহত হচ্ছে পাশে থাকা মুক্তিযোদ্ধা আহম্মেদ আলী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের পাঠদান কার্যক্রম।
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কের পাশে পৌরসভার মধ্যে নতুন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় হাবিবুর রহমান হাবিব নামের একজন অটো রাইস মিল গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি এই রাইস মিলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিলের বর্জ্য ও চুল্লির ছাই উড়ে গিয়ে পড়ছে ফসলের জমি ও পুকুরে। এতে নষ্ট হচ্ছে প্রায় ১শ বিঘা জমির ফসল।
সেই সাথে মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পাশের পুকুরটিও। প্রধান সড়কের পাশে হওয়ায় অতিরিক্ত ছাইয়ের কারনে জনচলাচলেও বিঘ্ন হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এছাড়াও রাইস মিল নির্মানের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র ও পৌরসভা কতৃক ট্রেড লাইসেন্সও নেই এই প্রতিষ্ঠানের।
কৃষক কুদ্দস আলী বলেন, আমার দুই বিঘা জমির গম সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাইস মিলের বর্জ্যতে। বারবার মিল মালিকের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। মেহেরপুর হোটেল বাজারের চাল ব্যবসায়ী সামু বলেন, মিলের চুল্লির ছাই ও বর্জ্য গিয়ে পড়ছে আমার কলা বাগানে।
এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কলা গাছ। মাছ চাষি দুলাল মাহমুদ বলেন, প্রায় দুই বিঘা জমিতে মাছ করে আসছি দির্ঘদিন ধরে। এতেই আমার সংসার চলে। কিন্ত এখন ছাই আর মিলের বর্জ্যে পুকুরের পানি দূষিত হয়ে গেছে। মাছ মারা যাচ্ছে।
পাশ্ববর্তি মুক্তিযোদ্ধা আহাম্মেদ আলী টেকনিক্যাল ও বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শাহী উদ্দীন মিল্টন বলেন, অতিরিক্ত শব্দ দূষন, দুর্গন্ধ ও ছাইয়ের কারনে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ডাইমন্ড অটো রাইস মিলের মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আমরা নিয়ম মেনেই মিল চালাচ্ছি। ছাইতো উড়বেই। বাতাস যেদিকে যাবে ছাইও সেদিকে যাবে।
মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন জানান, আমি যতদুর জানি, এখনো কোন ট্রেড লাইসেন্স ডাইমন্ড অটো রাইস মিলকে দেওয়া হয়নি।