রমজানে মূল্য ছাড়ের হিড়িক সৌদিতে বাংলাদেশে উল্টো
মুসলমানদের ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান। চাঁদ দেখা গেলে আগামী ১৬ মে বুধবার থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুরু হবে পবিত্র রমজান।
রমজান উপলক্ষ্যে সৌদি আরবের বড় বড় চেইনশপ থেকে শুরু করে ছোট দোকানে চলছে ছাড়ের হিড়িক। ক্রেতাদের কে, কত পার্সেন্ট বেশি ডিসকাউন্ট দিতে পারে সে নিয়ে রীতিমতো চলছে প্রতিযোগিতা। এই ছাড়ের মাত্রা ক্ষেত্র বিশেষ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
রোজাদারদের অর্থ কষ্ট লাগব ও অধিক সোয়াবের আশায় নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসে এই ছাড় দেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের লুলু হাইপার মার্কেট, পান্ডা, ওথাইম, নেস্টু, আল মদীনা, সেন্টার পয়েন্ট, তামিমি, ক্যারিফোরসহ অনেক শপিংমল ও সুপার মার্কেট শুধু ছাড় ঘোষণা করেই বসে নেই। তাদের এই ডিসকাউন্টের খবর ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন, কোন পণ্যে কত ছাড় এটা লিখে বুকলেট ছাপিয়ে বাসার দরজায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। রমজানকে সামনে রেখে মূল্য ছাড়ের ঘোষণায় খুশি ক্রেতারাও।
এদিকে, বাংলাদেশে রমজান আসলে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়।দুর্ভোগ পোহাতে হয় সর্বক্ষেত্রে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাই সমস্ত নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যে সহ পোষাকের দাম যা অন্য মুসলিম দেশ গুলোর তুলনায় ভিন্ন। সেখানে সৌদিতে ব্যবসায়ীরা মূল্য ছাড়ের প্রতিযোগিতায় নামেন।
রোজার এখনো কিছুদিন বাকি থাকলেও ঘোষিত মূল্য ছাড়ে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সাথে শপিং মলে এসেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
আর এই রমজানকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের রাস্তাঘাট আর শপিং মলগুলোতে করা হয়েছে আলোক সজ্জা। মার্কেটগুলোতে শুভা পাচ্ছে ‘রমাদান কারিম’ লেখা সম্বলিত রং বেরংঙ্গের প্লেকার্ড। রোজাদারদের ইফতার করাতে কিছু কিছু মসজিদের পাশে স্থাপন করা হচ্ছে বিশেষ তাবু।
অন্যদিকে, রমজানে শুধু পণ্যের মূল্য ছাড়ই নয় সৌদি সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকেও দেয়া হয় বিশেষ সুবিধা। রাতে কাজ এবং অন্যান্য সময়ের তুলনায় কর্মঘণ্টা কম হলেও বেতন-বোনাসে কোন হেরফের হয় না।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ১৬০ কোটি মুসলমানের জন্য পবিত্র মাহে রমজান বয়ে আনে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা। নিজেদের আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এই একমাস ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।