স্টাফ রিপোর্টার: ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর বিনিয়োগকারী ও দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ বিল্লাল হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ডেসটিনির ক্রেতা-পরিবেশক ও বিনিয়োগকারীরা। একইভাবে সাংবাদিকের উপর এই হামলার ঘটনায় দোষীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ সহ মানবাধিকার কর্মিরা।
জানা যায়, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের বিতর্কিত কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কিসলুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শুক্রবার বিকালে পল্টন এলাকা থেকে সাংবাদিক ও ডেসটিনির বিনিয়োকারী মোঃ বিল্লাল হোসেনকে তুলে নিয়ে তাদের অফিসের টর্চার সেলে আটকে রেখে অকথ্য নির্যাতন চালায়। আর এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়া সহ একাধিক ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এখন ভাইরাল। একইভাবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পল্টন থানায় মামলা দায়ের হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দোষীদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে সেদিনের সেই নির্মম নিষ্ঠুর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিল্লাল হোসেন কেঁদে দেন, সাংবাদিকদের কাছে। ঘটনাটি তিনি এই ভাবে বর্ণনা করছিলেন। যা শুনে
পাষণ্ডের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটবে।
বিল্লাল হোসেন বলেন, তাকে তুলে নিয়ে যায় জাকিরগংদের সন্ত্রাসী বাহিনী। এরপর হাত পা বেঁধে রাখা হয় তাদের টর্চার সেলে। সেখানে দফায় দফায় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয় তার উপর।
১৯৭১ সালে যেমনিভাবে রাজাকাররা নিরিহ মানুষদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করত। ঠিক তেমনি ভাবে কথিত ঐ টর্চার সেলে অত্যাচার করা হয় বিল্লাল হোসেনের উপর। সেখানে নেতৃত্ব দেন,
বর্তমান ডেসটিনি-২০০০ লিঃ এর অবৈধ বোর্ড কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কিসলু। সে নিজেই টর্চার সেলের মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তারপর তার সাঙ্গপাঙ্গরা অকথ্য নির্যাতন করে বিল্লাল হোসেনের উপর। সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিল্লাল এর ক্রন্দনরত আকুতি আর লোমহর্ষকর নির্যাতনের বর্ণনা শুনলে যে কোন পাষণ্ডের চোখে পানি চলে আসবে।
ক্ষমতা, অর্থ লোভ-লালসা মানুষকে কতটা অমানুষ করতে পারে তা বিল্লালের নির্যাতনের বর্ণনা শুনলে বোঝা যায়। এরা মানুষ নামের নরপশু।
ঘটনার দিন বিল্লাল এর উপর দফায় দফায় নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনের সময় বৈশাখী টেলিভিশনে দেওয়া ডেসটিনির সাধারণ একজন বিনিয়োগকারী সাংবাদিক বিল্লাল এর সাক্ষাৎকার ভিডিওটি দেখানো হয়, আর বারবার নির্যাতন করা হয়। এ যেন হিন্দি সিনেমার খলনায়কদের অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে নির্যাতনকারীরা।
আর এই জঘন্য ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর ডেসটিনির লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারীদের মাঝে এখন প্রশ্ন? এদের কাছে ডেসটিনি কতটুকু নিরাপদ? এদের কাছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর অর্থ কতটা নিরাপদ? এরা বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেবে কিভাবে? এরা দীর্ঘ দশ বছর পর এখন এসে কাদের জন্য মায়াকান্না কাঁদছে?
বিল্লাল হোসেনর কি অপরাধ ছিল?
ইত্যাদি নানা মন্তব্য, কমেন্ট ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় তোড়পাড় সৃষ্টি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এসব প্রশ্নের উত্তর যেমন কথিত ভূয়া বোর্ড কমিটি দিতে পারবে না, ঠিক তেমনি ভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা
বুঝে গেছেন, এরা লুটেরাগোষ্ঠী। এরা বিনিয়োগকারীদের বন্ধু হতে পারে না। এরা নিম্নতম একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীকে মূল্যায়ন করতে জানে না। এরা জানে অত্যাচার-নির্যাতন লুণ্ঠনসহ বিনিয়োগকারীদের সম্পদ লুটপাট করে খাওয়ার কৌশল।
তারা আরো মন্তব্য করেছে, এদের নেপথ্যের চরিত্র ফুটে উঠেছে নিরিহ বিল্লালের উপর অকথ্য নির্যাতনের মধ্য দিয়ে। তাই এরা বিনিয়োগকারীদের বন্ধু হতে পারে না। এরা হলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আতঙ্কিত সন্ত্রাসী এক গোষ্ঠী।
সূত্রমতে আরো জানা যায়, সাংবাদিক বিল্লাল হোসেনের উপর নির্যাতনের কৌশলটি ছিল ভিন্ন। শরীরে কোথাও রক্তক্ষরণ ঘটেনি। তবে শরীরের ভেতরের অংশ থেঁতলে দিয়েছে সন্ত্রাসী পাষণ্ডরা। যা সহ্য করতে পারছে না বিল্লাল হোসেন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে
অজস্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। শুধুই কাঁদছে আর কাঁদছে।
এ ব্যাপারে ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের মন্তব্য একজন নিরীহ বিনিয়োগকারীর উপর এই অত্যাচার কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায়না। সভ্য সমাজে যারা মুখোশধারী বা ভদ্রতার লেবাস পড়ে আছেন, সেইসব তথাকিথিত লেবাসধারীদের ইন্ধনেই বিল্লালের উপর এই অত্যাচার।
অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দাবি অনতিবিলম্বে দুষ্কৃতিকারীদের কে গ্রেফতার করা হোক। আর এদের নির্দেশদাতা, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। কারণ এদের কাছে ডেসটিনির সাড়ে ৮ লক্ষ বিনিয়োগকারীসহ ৪৫ লাখ ক্রেতা-পরিবেশক নিরাপদ নয়। একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীর উপর যদি এই ধরনের হামলা হতে পারে, তাহলে ডেসটিনি মুক্তির আন্দোলনে যারা দীর্ঘ ১০ বছর অহিংস আন্দোলনে কাজ করছেন, তাদের পরিনাম কি হবে। অচিরেই অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে ডেসটিন ধ্বংসের পথে চলে যাবে। তাই সম্মিলিতভাবে জুলুমকারী, অত্যাচার ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন, ডেসটিনির ৪৫ লাখ বিনিয়োগকারী ক্রেতা পরিবেশকরা।
একইভাবে বিল্লাল হোসেনের উপহার হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।