২৫ এপ্রিল পালিত হল খুলনা জেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী!
২৫ এপ্রিল পালিত হল খুলনা জেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৮৮২ সালের এই দিনে (২৫ এপ্রিল) তৎকালিন চব্বিশ পরগনা জেলার সাতক্ষীরা, যশোর জেলার খুলনা ও বাগেরহাট মহাকুমা নিয়ে খুলনা জেলা গঠিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে এ দিনটি খুলনা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
খুলনা নামকরণ নিয়ে একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। তবে জনশ্রুতি রয়েছে, প্রচীনকালে এই অঞ্চলটি সুন্দরবন ছিল। মধ্যযুগ থেকে ক্রমান্বয়ে বন কেটে জনবসতি বিস্তার লাভ করে। তাই এর প্রথম নামকরণ ছিল ‘নয়াবাদ’ বা ‘নুতন আবাদ’ । এই নয়াবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রূপসা পূর্ব পাড়ের একটি আভ্যন্তরীন নদী বন্দর । যেখানে বাণিজ্যিক পণ্য নিয়ে জলযানগুলো আসা যাওয়া করত। যেহেতু নয়াবাদ ছিল বসতির শেষ সীমানা এবং তারপরই বন শুরু। তাই দিন শেষে নৌকার বহর নয়াবাদের পাশেই নোঙ্গর করে রাত্রি যাপন করত । কারণ রাত্রে সাধারণত মাঝিরা নৌকা খুলতে সাহস পেত না।
একবার ভয়ংকর ঝড়ে রাতে মাঝিরা যখন নিরাপদ স্থানে যাবার জন্য নৌকা খুলতে গেল তখনই বন জঙ্গলের মধ্য হতে অদৃশ্য আওয়াজ এলো ‘ খু-লো -না ’, ‘খু –লো –না’ । অর্থাৎ নৌকা খোলা যাবে না। সেই খু-লো -না আওয়াজের স্মরণ করেই খুলনার নাম প্রচলিত হয়েছে। অনেক ইতিহাসবিদও তা-ই মনে করেন।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে,খুলনা সদরের নামে খুলনা বিভাগের নামকরণ করা হয়েছে। প্রচলিত মতানুসারে খুলনা শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদীর তীরে খুল্লেনেশ্বরী দেবীর মন্দির ছিলো এবং এই দেবীর নামানুসারে খুলনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনাকে মহাকুমা করা হয়েছিলো ১৮৪২ সালে। এরপর ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬১ সালে খুলনা বিভাগে রূপ লাভ করে।
স্টাফ রিপোর্ট : সাব্বির হোসেন (খুলনা টিভি)